জাবালে নূরের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০৪ পিএম
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূর বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করেন।
পরবর্তীতে বিচারের লক্ষে এ মামলার চার্জশিট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করা হবে বলে জানান বিচারক।
এ মামলার আসামিরা হলেন, ঘাতক বাসের মালিক নূরের শাহাদাত হোসেন, তিনটি বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের ও সোহাগ এবং দুই বাসচালকের সহকারী এনায়েত ও রিপন।
এই ছয়জনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন চারজন। দুজন এখনও পলাতক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চালক ও চালকের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে, তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়। এ সময় চালক মাসুম বিল্লাহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দুজন শিক্ষার্থী মারা যান।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সেদিন বাস দুটির চালক ও চালকের সহকারীরা দুই থেকে তিনবার ওভার ট্রেকিং করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজিব ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম নিহত হন। এ সময় আরও অনেকে আহত হন।
ওই ঘটনায় ওই রাতেই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)। এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেফতারের খবর জানানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া ছয়জনকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি।