জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সবাই র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। জাবি প্রশাসন ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অডিটরিয়ামে ইউজিসি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গুরুতর র‌্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বৈঠক করে ইউজিসি। সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও বেআইনি কাজ বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও অন্যান্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠি পেয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তা এবং জ্ঞানের আধার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সকলকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে উচ্চশিক্ষার অর্জনগুলো ম্লান না হয়ে য়ায়। অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে র‌্যাগিং একটি গুরুতর সমস্যা। জাতীয় এ সমস্যাটি সমাধানে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ডিনস, প্রক্টোরিয়াল টিম, আবাসিক হলের প্রভোস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম ও অধ্যাপক ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, ইউজিসির সচিব ড. মো. খালেদ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংসহ অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধে জাবি উপাচার্য মনোনীত প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটি অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। প্রসঙ্গত, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান একই বিভাগের শিক্ষার্থীর দ্বারা র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।