×

জাতীয়

ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৪ পিএম

ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে শতাধিক পরিবার
পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রাম। জানা যায়, দুই বছর আগে বিদায়ী জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বালু না তোলার পরামর্শ দিলেও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় আগের চেয়ে আরো বেশি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ভাঙনে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুবার নদের পেটে গিয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি, মসজিদ, ফসলি জমি, রাস্তা নদের গর্ভে বিলীন হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও স্থানীয় সাংসদের তৎপরতা না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিন শনিবার এলাকাবাসীর কথা হয় বাস্তুহারা হয়ে অন্যের জমিতে কাজ করে বেঁচে থাকা সাহেবের চর গ্রামের চাঁন মিয়া, সুমন মিয়া, হাবিব মিয়া, আবুল কাসেম, আ. হাই, গোলাম মুস্তফা, ফয়জুল, নুরুল ইসলাম, শহিদ, রবি মিয়া, ইদ্রিছ আলী, মুক্তার উদ্দিন, আতাব মিয়ার সঙ্গে। তারা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় বালু ব্যবসায়ী মো. দুলাল মিয়া ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে আসছেন। সে জন্য এ গ্রামের ৭ শতাধিক বসতভিটা, হাজিবাড়ির মসজিদসহ তিন ফসলি জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া হযরত সুলোশাহ (র.) মাজারসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদে বিলীন হওয়ার পথে। এ বিষয়ে সিদলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সিরাজ উদ্দিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী তীর সংরক্ষণের জন্য প্রকল্পের আওতায় পাঠানো হলেও একনেকের অনুমোদন না পাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App