×

জাতীয়

নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৩৩ পিএম

নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ
সৈয়দপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩শ ঘর নির্মাণকাজ চলছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এখনো অর্ধশতাধিক ঘরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। অথচ অভিযোগ রয়েছে উদ্বোধনের জন্যে ওই প্রকল্পের একটি ঘরের নির্মাণকাজ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে তড়িঘড়ি শেষ করা হয়। উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছইল মালিপাড়ার বাসিন্দা ধ্রæব চন্দ্র রায়ের নামে বরাদ্দকৃত ওই ঘর গত শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরী ওই ঘরের উদ্বোধন করেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্প উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বজলুর রশীদ, নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল আলম, খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ইউপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণের জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩শ ঘরের প্রতিটির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। বরাদ্দকৃত এ অর্থে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৬০টি করে ঘর নির্মাণকাজ গত জুলাই মাসে শুরু করা হয়। শুরু থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউএনও কমিটির অন্যান্য সদস্যদের পাশ কাটিয়ে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে ঘর নির্মাণ করছেন। যদিও ঘর নির্মাণকাজের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। তাই সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩শ ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে একেকটি ঘর ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার পাঁয়তারা করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। খাতামধুপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী মোছা. ছামছিয়া অভিযোগ করেন, ঠিকাদারের লোকজন তাকে ঘরের ভিটায় মাটি তুলতে বলেন।তিনি প্রতি ট্রলি মাটি ৬শ টাকা করে তিন হাজার টাকার মাটি কিনে ঘরের ভিটা উঁচু করেন। বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার উপকারভোগী মুজিবর রহমানকে ল্যাট্রিনের গর্ত করতে বলেছেন ঠিকাদারের লোকজন। উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দিনাজপুরে বদলি হয়েছেন। গত জুলাই মাসে তার ওই বদলির আদেশ হলেও এখনো তিনি সৈয়দপুর থেকে বিদায় নেননি। অভিযোগ রয়েছে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করে নিজের পকেট ভারী করার পাঁয়তারা করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App