×

জাতীয়

গোয়ালন্দে খাল ভরাট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:২০ পিএম

গোয়ালন্দে খাল ভরাট
উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ওমেদ বেপারী পাড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশের মুখ ভরাট করে বসতভিটা তৈরি করেছে স্থানীয়রা। পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে খাল উপচে রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারী। এলাকাবাসী খালটি উদ্ধারসহ সেতুর দুই মুখ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলাচলের সুবিধার্থে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ওমেদ বেপারি পাড়ার বারেক মাঝির বাড়ির কাছে খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাল দিয়ে নিচু এলাকায় জমে থাকা পানি প্রবাহিত হয়ে উজানচর মরা পদ্মা নদীতে গিয়ে মিশত। বর্ষাকালে অনেকে পাট পচানোর জন্য খাল ব্যবহার করত। স্থানীয় কিছু মানুষ গত ৮-৯ বছর ধরে খালটি ভরাট করে বসত বাড়ি নির্মাণ করে। এক মাস আগে সেতু সংলগ্ন স্থানীয় বক্কার শেখ, বারেক শেখ ওরফে বারেক মাঝি ও মোতালেব শেখের পরিবার ড্রেজার দিয়ে ভরাট করে সেতুর দুপাশের মুখ বন্ধ করে বসতভিটা তৈরি করে। এখন সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা সড়কের ওপর হাঁটু পানির জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পথচারীদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় আলাল সরদার, খয়ের আলী শেখসহ কয়েকজন বলেন, আমরা খাল ফিরে পেতে চাই। কয়েক বছর আগে কিছু বসতবাড়ি করায় সরকার স্থিতাবস্থা জারি করেছিল। তা অমান্য করে স্থানীয় অনেকে খাল ভরাট করে ঘরবাড়ি করে। পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা না থাকায় বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আক্কাছ আলী সরদার অভিযোগ করেন, খাল থাকা অবস্থায় আশপাশের সব পানি খালে গিয়ে পড়ত। বর্ষাকালে অনেক কৃষক এ খালে পাট পচাত। কিছুদিন আগে কয়েক পরিবার ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করে ফেলায় বৃষ্টি নামলেই রাস্তা তলিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, খালটি ভরাট করে ফেলায় একদিকে যেমন সেতুর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। মাটি ভরাট প্রসঙ্গে বারেক শেখ ওরফে বারেক মাঝি বলেন, যার যার বাড়ির সামনে সবাই খাল ভরাট করে বসত ভিটা করেছে। বাড়ির সামনের খাল আমার নিজস্ব জায়গা। প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ করে ৯০ হাজার ঘন মিটার বালুমাটি ফেলে ভরাট করেছি। যদি কেউ না ভরাট করত তাহলে আমিও ভরতাম না। এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এভাবে সরকারি খাল ভরাট করার এখতিয়ার কারো নেই। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশের মুখ ভরাট করার বিষয়টি জানা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App