×

জাতীয়

তিন কিলোমিটার পথে সময় লাগে এক ঘণ্টা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০২:২৯ পিএম

তিন কিলোমিটার পথে সময় লাগে এক ঘণ্টা
অভয়নগর উপজেলার ভবদহ এলাকার চলিশিয়া ইউনিয়নের একটি রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাত্র তিন কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। রাস্তার এ বেহাল অবস্থায় পড়ে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যুও হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কয়েক গ্রামের হাজার হাজার পরিবার ও শত শত মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী। সরেজমিন চলিশিয়া ইউনিয়নের বেদভিটা-ডুমুরতলায় গিয়ে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া-কালীবাড়ি সড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া স্থান থেকে নামমাত্র ইটের সোলিং রয়েছে। তাও খানাখন্দে ভরা। কয়েকশ গজ ইট সোলিংয়ের পর শুরু হয় হাঁটুকাদায় ভরা রাস্তা। গ্রামবাসী জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে তারা এ রাস্তাটি দিয়ে হাঁটুকাদা পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। আর এ বিড়ম্বনাপূর্ণ রাস্তার কারণে সম্প্রতি রাতের বেলা বিরল বিশ্বাস (৫০) নামের স্থানীয় এক গ্রামবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে হাঁটুকাদায় ভরা রাস্তাকে। নিহতের প্রতিবেশী কৃষক হুমায়ুন মল্লিক জানান, ওই দিন রাতে বেদভিটা গ্রামের বিরল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার চেষ্টা করলে কাদায় ভরা রাস্তা সৃষ্টি করে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা। মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লেগে যায় এক ঘণ্টা। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় চিকিৎসক জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দ্রæত আনতে পারলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো। বেদভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, পাকা রাস্তার সঙ্গে তাদের যাতায়াতের বেদভিটা রাস্তাটি অল্প একটু ইট সোলিং করা আছে। এরপর থেকে হাঁটু কাদা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। রাস্তাটির কাদা থেকে মুক্তি পেতে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ইট দিয়ে সোলিং করার দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মৎস্য খাতে তাদের অবদান থাকার পরও অভিশপ্ত এ রাস্তার কারণে তাদের ব্যবসা অলাভজনক ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। এ ব্যাপারে চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদির হোসেন মোল্লা বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলায় বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবার করা হবে। দ্রæত সময়ের মধ্যে রাস্তাটির সোলিংকরণের কাজ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল অধিদপ্তর করে দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গ্রামবাসীর দাবি, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও এম এম মাহমুদুর রহমান, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা সরেজমিন রাস্তাটি পরিদর্শন করলে দ্রæত ইট সোলিং বা পাকাকরণের কাজ শুরু হতো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App