×

জাতীয়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনাগ্রহ অভিভাবকদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৫৭ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনাগ্রহ অভিভাবকদের
মাধবপুর উপজেলার কিন্ডার গার্টেনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বেশ কিছু কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। পড়াশোনার খরচ বেশি হলেও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকরা ঝুঁকছেন কিন্ডার গার্টেনের দিকে। সরকারি নিতিমালা ভঙ্গ করে মাধবপুর উপজেলা সদরে কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন গড়ে উঠেছে। এগুলো আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকার ভেতরে। মাধবপুর উপজেলা সদরে রয়েছে বøু বার্ড কিন্ডার গার্টেন, বুশরা কিন্ডার গার্টেন, ব্রিটিশ গ্রামার স্কুল, উপজেলা আদর্শ বিদ্যালয়, ফুলকলি পৌর কিন্ডার গার্টেন, খান কিন্ডার গার্টেন স্কুল। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরের ব্রিটিশ গ্রামার স্কুল। আবার ব্রিটিশ গ্রামার স্কুল সংলগ্ন ফুলকলি পৌর কিন্ডার গার্টেন। তার থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে উপজেলা আদর্শ বিদ্যালয়। তা ছাড়া উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডার গার্টেন গড়ে উঠছে। মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ৫৮টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। ২০১৮ সালে আরো ১০টি স্কুল নতুন করে চালু হয়েছে। সেই হিসাবে উপজেলায় ৬৮টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাও তার ছেলে মেয়েকে কিন্ডার গার্টেনগুলোতে পড়াশোনা করাচ্ছেন। সরেজমিনে উপজেলা সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ এলাকার ফুলকলি পৌর কিন্ডার গার্টেন, ব্রিটিশ গ্রামার স্কুল, উপজেলা আদর্শ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানরা কীভাবে পড়াশোনা করছেন, ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা, ডায়েরিতে আগামী দিনের পড়া নেয়ার জন্য স্কুলের সামনে বসে রয়েছেন। অনেক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কিন্ডার গার্টেনগুলোতে টাকা দিয়ে ভর্তি করে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয়। তারপরও ভর্তি করি কারণ এখানে যতœসহকারে বাচ্চাদের পাঠদান করা হয়। টেস্ট, মডেল পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার খাতায় কত নম্বর পেল সেগুলো ডায়রিতে লিখে দেয়া হয়। প্রতিদিনের বাসার কাজ ডায়রিতে লিখে দেয়া হয়। কামরুজ্জামান খান শাওন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, কিন্ডার গার্টেনগুলোতে বাচ্চাদের যতœসহকারে পাঠদান করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যবস্থাটি আগের মতোই রয়ে গেছে। গদবাঁধাভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে গিয়ে চেয়ারে বসে বসে ঘুমান, পাঠদানে আন্তরিক নয়। অপরদিকে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষকরা সার্বক্ষণিক পাঠদানে ব্যস্ত। তারা পাঠদানে বেশ আন্তরিক। এতে পঞ্চম শ্রেণিতে (পিএসসি) পরীক্ষায় কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে। অপরদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। তবে কিছু অভিভাবক সচেতন হওয়ায় তারা সন্তানদের বাসায় পড়াশোনা করান তাই তারা কিছুটা ভালো করে। মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, কিন্ডার গার্টেন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই জন্য পড়াশোনার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অভিভাবকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থী রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App