×

জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় সেপ্টেম্বরেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০১৮, ১০:৫২ এএম

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় সেপ্টেম্বরেই
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মুহূর্তে সর্বশেষ আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। এগুলো শেষ হওয়ার পর আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিচারিক আদালতের রায় দেয়া সম্ভব হবে। সাধারণ প্রক্রিয়ায় মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আসামীরা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ করছেন। তারা বিচার প্রক্রিয়ায় কালক্ষেপণের চেষ্টা করছেন। তাদের অপচেষ্টা অতিক্রম করে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। ১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ-জাতি আরো একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। বর্তমানে মামলা দুটিতে রায়ের আগের ধাপের যুক্তিতর্ক চলমান। এ যুক্তিতর্ক শেষ হলেই রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে মামলাটিতে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এরপর ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ওই নারকীয় হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ২টি এজাহার দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুটিতে পবিত্র ঈদুল আজহার পর যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য হবে। শুরুতে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন হবে। এর পর সব আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষে তা খন্ডন করে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এর পর আবার আসামিপক্ষও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তির বিপরীতে পাল্টা যুক্তি খন্ডন করতে পারে। এরপরই রায় ঘোষণার দিন ঠিক করবেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে চলতি ২১ আগস্টের মধ্যে এ মামলার বিচার হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের গত বছর দেয়া ঘোষণা সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, আসামিপক্ষ কালক্ষেপণ না করলে দু-এক মাস আগেই শেষ হয়ে যেত। অন্যদিকে এ সম্পর্কে আসামি আবদুস সালাম পিন্টুর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম তারা বলেন, মামলাটি অনেক বড়, ৫২ জন আসামি। আসামি পক্ষ একটুও অতিরিক্ত সময় নেয়নি। বরং রাষ্ট্রপক্ষই মামলা দ্রæত শেষ করতে তড়িঘড়ি করেছে। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মামলা ২টির বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট মামলা ২টিতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। তারা ২ মাস ৮ দিনে মোট ২৫ কার্যদিবসে যুক্তি উপস্থাপন করে ১ জানুয়ারি শেষ করে। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৮ আসামির মৃত্যুদন্ড এবং ১১ সরকারি কর্মকর্তার ৭ বছর কারাদন্ড দাবি করেন। এরপর শুরু হয় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন। মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। তবে তাদের মধ্যে বিচারকালীন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। তাই বর্তমানে মামলা দুটিতে আসামি ৪৯ জন। মামলার পলাতক ৪ আসামি সাবেক ডিসি পূর্ব মো. ওবায়দুর রহমান, সাবেক ডিসি দক্ষিণ খান সাইদ হাসান, লে. কর্নেল (অব) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার ও মেজর (অব.) এটিএম আমিনদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদন্ডের ধারা না থাকায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নেই। তাই তাদের পক্ষে যুক্তিতর্কসহ কোনো কার্যক্রম গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App