নায়করাজের অজানা বৃত্তান্ত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০১৮, ০২:২৬ পিএম
*** কৈশোরে বেশ বাউন্ডুলে ছিলেন রাজ্জাক। বেশ কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তবে শৈশবে ফুটবলে গোলকিপার হয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
*** কলকাতার বাড়িতে তার একটি চানাচুরের কারখানা ছিল। বেশ কষ্টেই তখন সংসার চলতো রাজ্জাকের।
*** নায়ক হবার আগেই সৌন্দর্যের কারণে রাজ্জাক ছিলেন পাড়ার মেয়েদের কাছে ‘হিরো’।
*** কলকাতায় প্রথমদিকে শিলালিপি ও পঙ্কতিলক নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করেন।
*** ১৯৬৪ সালের দাঙ্গায় দুষ্কৃতকারীরা রাজ্জাকের নাকতলার বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। এরপর বড় ছেলে বাপ্পারাজকে নিয়ে শরণার্থী হয়ে সস্ত্রীক ঢাকায় চলে আসেন রাজ্জাক।
*** বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পরিচালক আবদুল জব্বার খানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন রাজ্জাক।
*** ষাটের দশকের ব্যস্ত রোমান্টিক নায়ক রহমান দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর তখনকার রোমান্টিক নায়কের অভাব পূরণে রাজ্জাক ছিলেন প্রথম নায়ক।
*** উর্দু চলচ্চিত্রের আধিপত্য থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থান তৈরি হয় রাজ্জাকের মাধ্যমে।
*** বাংলাদেশি প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমেডি ছবি ১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন-এ ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।
*** অভিনেতা ও পরিচালকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে তার আরো দুটি পরিচয় তিনি প্রযোজক ও পরিবেশক।
*** চিত্রালী পত্রিকার সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দেন।
*** রাজ্জাক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেতকে প্রথমবার চলচ্চিত্রে আনেন চাপাডাঙ্গার বউ ছবিতে খল চরিত্রে।
*** নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে রাজ্জাক ছিলেন বড় অভিভাবক। তার পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আবারো ঘুরে দাঁড়ায়।