×

জাতীয়

সদরপুরের কৃষকরা ব্যস্ত পাট কাটা ও সংরক্ষণে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৪৮ পিএম

সদরপুরের কৃষকরা ব্যস্ত পাট কাটা ও সংরক্ষণে
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে পাট কাটা, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ বছর আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুক‚লে না থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়নি। পাটের বীজ বপনের পর থেকে প্রায় ২ মাস অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও আবহাওয়া অনুক‚লে না থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়নি বলে জানান কৃষকরা। নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পাটের চারা ডুবে যাওয়ায় ওই সব জমিতে পাট উৎপাদন হয়নি। উঁচু জমিতে কিছুটা ভালো ফলন হলেও বর্তমানে পানির অভাবে পাট পচাতে পারছেন না কৃষকরা। নিচু এলাকায় কিছুটা পানি পাওয়ায় কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে পাট পচানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পাট মৌসুমে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত থাকেন উৎসবমুখর পরিবেশে পাট ছাড়ানোর কাজে। পাট মৌসুমে তারা পাট ছাড়িয়ে সারা বছরের জন্য পাটকাঠি সংগ্রহ করেন। কেউ কেউ আবার আর্থিক সংকটে বাজারে, ফড়িয়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ফড়িয়াদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট তোষা পাটের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫১০ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর। মেস্তা পাটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৬০ হেক্টর, চাষ হয়েছে মাত্র ২শ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ১১ বেল ও মেস্তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.৪০ বেল। বাজারে পাটের মূল্য ভালো থাকায় চাষিরা মোটামুটি পুঁজি ওঠাতে সক্ষম হবেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার পাটচাষিরা। রামচন্দ্রপুর গ্রামের পাটচাষি সহিদ মাতুব্বর জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন তিনি। অতিবৃষ্টিতে পাট তেমন ভালো হয়নি। উজিরখাঁকান্দি গ্রামের পাটচাষি খলিল খাঁ, চর বলাশিয়া গ্রামের পাটচাষি করিম বেপারি জানান, অতিবৃষ্টিতে তাদের জমির পাট ভালো হয়নি। ফলে এ বছর তারা পাট চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App