×

মুক্তচিন্তা

এবারের ঈদ অর্থনীতি ও নির্বাচনী রাজনীতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৮ পিএম

এবারের ঈদ অর্থনীতি ও  নির্বাচনী রাজনীতি

অন্বেষা-অন্বয়

বেশ কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈদের বিশেষ প্রবাহের কথা আলোচিত হচ্ছে। বছরে যেহেতু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশেষ দুটো ঈদ পার্বণ রয়েছে তাই দুটো পালা-পার্বণের দুই ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দুটো ঈদের অর্থনীতিই অনেকটা আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। অবশ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজাতেও অর্থনীতিতে বিশেষ উৎসব প্রবাহের সংযোগ ঘটে। একইভাবে নববর্ষের বৈশাখী উৎসবকে কেন্দ্র করেও অর্থনীতি নতুনভাবে চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর সামগ্রিক প্রভাব পড়ে দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর, উন্নতির ওপর, মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তই শুধু বিকশিত হয় না, দরিদ্র শ্রেণিও সচ্ছল হওয়ার সুযোগ পায়।

২২ আগস্ট বুধবার এ বছর কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোরবানির ঈদকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব বলে ভাবা হয়। এই ঈদের আনুষ্ঠানিকতা ঈদুল ফিরত থেকে অনেকাংশেই আলাদা। এখানে মূলত পশু কোরবানি দেয়ার নিয়ম থাকায় মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী তাতে অংশ নিয়ে থাকে। তবে অনেকেই পশু কোরবানি নিয়ে এক ধরনের সামাজিক মর্যাদা অনুভব করেন, আবার হাল আমলে রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেও কোরবানিকে ব্যবহার করে থাকেন বলে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশে পশু তথা গরু, ছাগল কেনাবেচায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। আরবের অনেক দেশ থেকে আমাদের দেশে কোরবানির চালচিত্রে ব্যাপক ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেভাবে এ ধারা চলছে তা অদূর ভবিষ্যতে কী রূপ লাভ করবেÑ তা নিয়ে বোধহয় ভাবার সময় হয়েছে। এর মধ্যে যথাসম্ভব ধর্মীয় বিধানটুকু দৃশ্যমান থাকাই বাঞ্ছনীয়। সামাজিক প্রতিযোগিতা বা রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অংশ না থাকাই শ্রেয়।

মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। যখন আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা কম ছিল তখন ঈদে পশু কোরবানির সংখ্যা অনেক কম ছিল আমরা যারা বয়সে একটু বেশি- তারা তাদের শৈশবে এমন দৃশ্যই দেখেছেন। তবে তখন হালচাষের গরু, কিংবা ঘরের পালিত ছাগল কোরবানির ওপরই বেশির ভাগ পরিবারের নির্ভরতা ছিল, ঈদ উপলক্ষে বাজারে বেচাকেনাও হতো তেমন গরু ছাগলই বেশি। খামারে গরু-ছাগল পুষে ঈদ উপলক্ষে বিক্রির প্রবণতা খুব বেশি ছিল না। কৃষক বা উঠতি ব্যবসায়ীদের পুঁজির সীমাবদ্ধতা যেমন ছিল, ঋণপ্রাপ্তির সংকটও ছিল, ছিল খামারকেন্দ্রিক ব্যবসা সৃষ্টির অভিজ্ঞতার অনুপস্থিতিও। তখন যুগটাই ছিল বাণিজ্য-পূর্ববর্তী ফলে কোরবানি উপলক্ষে গরু-ছাগলের চাহিদা থাকলেও বাড়তি বিনিয়োগ ঘটানোর উদ্যোক্তার অভাব ছিল। বিষয়টিকে একটি মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে দেখা হতো। তা ছাড়া কোরবানিতে অংশ নিতে পারত এমন পরিবারের সংখ্যা তখনো সীমিত ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধীরে ধীরে আর্থ-সামাজিক উন্নতি সাধিত হতে থাকে। কোরবানিতেও গরু-ছাগলের চাহিদা বাড়তে থাকে। তবে সেই চাহিদার সিংহভাগই পূরণ হতে থাকে চোরাই পথে ভারত থেকে গরু এনে। দেশে গড়ে উঠেছিল একটি চোরাকারবারি নির্ভর ফড়িয়া গোষ্ঠী, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী যারা মৌসুমি ব্যবসা হিসেবেই এটিকে নিয়েছিল কিন্তু গত প্রায় তিন দশক ধরে দেশে যেভাবে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত তথা ধনিক শ্রেণির উত্থান ঘটতে শুরু করেছে তাতে পুষ্টির চাহিদা পূরণে মাংসের জোগানের গুরুত্ব বাড়তে থাকে, ধীরে ধীরে অনেকেই গরু, ছাগল নিয়ে খামার সৃষ্টির কাজে এগিয়ে আসতে থাকে। বিশেষত গত দশ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে তাতে দুধ, গরু, ছাগল, মাছ, মুরগি, ডিম ইত্যাদি কেন্দ্রিক পেশায় বিস্তর বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটেছে।

দেশের কৃষক, অকৃষক, উঠতি ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মিলিয়ে অসংখ্য মানুষ গরু-ছাগল লালন-পালনে এগিয়ে এসেছে। মাংসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে এসব ছোট-বড় খামারি, গৃহপালিত গরু ছাগল বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। ফলে চাপ সৃষ্টি হয়েছে ভারত থেকে চোরাইপথে গরু না আনার। সেটিও ধীরে ধীরে কার্যকর হচ্ছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখনো ঈদ মৌসুমে চোরাই পথে ভারত থেকে নানা ধরনের গরু-ছাগলের সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে। তবে আমাদের কোরবানির পশুর বাজার এখনো খুব একটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে পারছে না। বাজারে নানা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অনেকেই দারুণভাবে মুনাফা করার চেষ্টা করে থাকেন। আবার গরু-ছাগলের হাট-বাজার বসিয়ে অনেক প্রভাবশালী গোষ্ঠী বিপুল অর্থোপার্জনের চেষ্টাও করে থাকে। বাংলাদেশে এখন কোরবানি উপলক্ষে গরু, ছাগল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে একদিকে একটি স্বাভাবিক খামার গোষ্ঠী গড়ে উঠছে, ছোট ছোট কৃষক-অকৃষক পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান বা সচ্ছল হওয়ার একটি নির্ভরযোগ্য উপায় খুঁজে পেয়েছে, অন্যদিকে গরু-ছাগলের বাজারকেন্দ্রিক একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বনাম রাজনৈতিক বণিকগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে- যারা ঈদ মৌসুমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অবস্থানে রয়েছে। এর সঙ্গে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের লাভালাভের স্বার্থ গভীরভাবে জড়িত। উদীয়মান বাণিজ্য খাত হিসেবে ঈদে পশুর খামারজাত, বাজারজাত, বেচাকেনা, পরিবহন খাত ইত্যাদি বেশ চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- যা এক দশক আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছিল। এখন কোরবানি উপলক্ষে দেশে প্রায় এক কোটি গরু-ছাগলের বাজার সৃষ্টি হয়েছে, এগুলোর উদ্যোক্তা, সরবরাহকারী, এসবের সঙ্গে নানা সহায়ক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য সৃষ্টি হয়েছে পশু খাবার, ওষুধ ইত্যাদিও স্থান করে নিয়েছে। তাতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করে বেঁচে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু খাতেই লাখো-কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হচ্ছে, বছরজুড়ে পশু খাদ্যসহ নানা ধরনের সহায়ক প্রতিষ্ঠানেও কর্মচাঞ্চল্য লেগে থাকা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক প্রবণতা।

অন্য যে খাতটি ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গা হয় তা হচ্ছে চামড়া ব্যবসা। যেহেতু কোরবানি উপলক্ষে প্রায় কোটির কাছাকাছি গরু-ছাগলের চামড়া কেনাবেচা হয়। ফলে এখানেও নানা মৌসুমি ব্যবসায়ীর আগমন ঘটে। তবে প্রায় প্রতি বছরই চামড়া কেনাবেচা নিয়ে নানা সমস্যা ও সংকটের অভিযোগ ওঠে। বোঝাই যাচ্ছে চামড়া শিল্পে বড় বড় কারবারিদের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মৌসুমি কারবারিদের সামান্য সংখ্যকই প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারে। তা ছাড়া কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ছোট কারবারিদের বিপাকে পড়তেই হয়। তারপরও বাংলাদেশ কোরবানি উপলক্ষে পশুর চামড়াকেন্দ্রিক অর্থনীতিও বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এর বেশির ভাগ অর্থ যদিও স্থানীয় এতিমখানা, মসজিদ-মাদ্রাসার নামে বিলি বণ্টন করা হয় তাই উৎপাদনশীল কোনো খাতে পুরো অর্থ ব্যয়ের কোনো উদ্যোগ এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না। হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং পুনরুৎপাদনের সুযোগ ঘটলে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলা সম্ভব হতো। অদূর ভবিষ্যতে গরিব, দুস্থ এবং এতিমদের জন্য সংগৃহীত অর্থলগ্নির মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে কিছু করার চিন্তা-ভাবনার এখনই সময় বলে মনে হচ্ছে।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অর্থনীতিতে মসলাপাতি এবং আনুষঙ্গিক নানা উপাদান বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে, দেশেও কিছু কিছু উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসবের আকার যত বাড়ছে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও তত বৃদ্ধি পাবে। অর্থনীতিতে এভাবেই নানা উপাদান যুক্ত হচ্ছে, হতে থাকবে। এই ঈদ অর্থনীতিতে কাপড়-চোপড় তত প্রাধান্য না পেলেও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তরা কাপড়-চোপড়, নানা ধরনের অলঙ্কার ইত্যাদির কেনাকাটা খুব কম করেন বলে মনে হয় না। খাবার-দাবারের নানা উপকরণ, কাঁচাবাজার ইত্যাদি বেশ বড় ধরনের প্রভাব রাখছে। তবে ঈদ উপলক্ষে মানুষের গ্রামে যাওয়া-আসা নিয়ে পরিবহন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থের সঞ্চালন ঘটে থাকে। দেশের ট্রেন ব্যবস্থা এক সময় মানুষের আস্থা হারিয়ে ছিল। গত কয়েক বছরে সড়কের চাইতে রেলের ওপর আস্থা বেড়েছে। সরকারের রেল মন্ত্রণালয় শুধু ঈদ উপলক্ষেই নয়, দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চাহিদা মোতাবেক ঘণ্টা ঘণ্টা ট্রেন যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারে, তাতে রেল মন্ত্রণালয় আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে, রেল সংস্কারে কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারে। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জোগান দেয়াই স্বাস্থ্যসম্মত অর্থনীতি। বাংলাদেশ রেলওয়ে সেই পথে হাঁটাই উত্তম, সময়ের দাবি। একই সঙ্গে দেশে নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য সরকার, মালিক, শ্রমিকদের আরো আধুনিক প্রশিক্ষকও নিয়মনীতি অনুযায়ী অগ্রসর হওয়া জরুরি। সড়ক পরিবহনের চাহিদাও ক্রমবর্ধমানশীল। ঈদে যে ধরনের বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় তা পূরণের বিষয়টিও পরিকল্পনার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত, করা সম্ভব। দেশের অর্থনীতিতেই শুধু নয়, সমাজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে এসব চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে সব পক্ষকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবতে হবে। আমরা প্রতি বছরই ঈদ উপলক্ষে যাতায়াতের বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির যে চিত্র দেখতে পাই সেটিকে আধুনিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনায় দেখার কড়া অনেক আগেই নড়ছে বলে মনে হয়। এখন উদ্যোক্তা ও নীতি-নির্ধারকদের সেভাবে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেটিই সময়ের দাবি। এ খাতে এক ঈদ উপলক্ষেই হাজার হাজার কোটি টাকার সঞ্চালন ঘটছে। এটিকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করা জরুরি। এর সঙ্গে দেশের পর্যটন শিল্পকেও ঢেলে সাজানো উচিত। ঈদের ছুটিতে মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে, নানা ধরনের সংস্থার কার্যকর ভূমিকা মানুষকে আস্থায় নিতে পারলেও এখানেও হাজার হাজার কোটি টাকার সঞ্চালন ঘটবে, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসার সুযোগ ঘটবে। এমনিতেই ধণিক শ্রেণির সদস্যরা দেশের বাইরে বেড়াতে যান, মধ্যবিত্তরা দেশের অভ্যন্তরেই ঘুরতে চায়। এখন প্রয়োজন হচ্ছে সেবাদানের খাত বৃদ্ধি করা, সুযোগ সৃষ্টি করা। তাতে সবাই লাভবান হতে পারে।

এবার চলতি বছরের কোরবানি ঈদের বাড়তি বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে আসা যাক। এ বছর যেহেতু দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাই বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোরবানি উপলক্ষে নেতাকর্মী, সমর্থক এবং ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে গরু-ছাগল কোরবানি দানের বিশেষ ব্যবস্থা করতে পারেন। তাতে বাজারে বর্তমান চাহিদার চাইতেও বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হতে পারে। সেই বিবেচনা থেকে এবার গরু-ছাগলের বাজার অতিরিক্ত চাঙ্গা থাকতে পারে। তাতে দেশীয় গরু-ছাগলের সরবরাহ কতটা চাহিদা সামাল দিতে সক্ষম হবে সেই প্রসঙ্গ ঘুরতেই পারে। তাতে বাজারে আরো জোগান, আরো চাহিদা হতে পারে, কৃত্রিম সংকটেরও সুযোগ নিতে সংশ্লিষ্ট মহলসমূহ ওঁৎ পেতে থাকতে পারে। যদিও এবার দেশি খামার মালিকও ছোট ছোট উদ্যোক্তারা দাবি করছেন তারা দেশে ক্রমবর্ধমান গরু-ছাগলের এসব চাহিদা পূরণ করার মতো সক্ষমতা রাখেন, সে কারণে ভারত থেকে যেন বাড়তি গরু-ছাগল আসার ব্যবস্থা না থাকে- সেই দাবি তারা করেছেন। তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, এক সময় যে কোরবানির বাজার সিংহভাগ চোরাইপথে ভারতীয় গরু আমদানির ওপর নির্ভর ছিল, তাতে বাংলাদেশের অর্থ একদিকে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যেত, অন্যদিকে দেশি চোরাই কারবারি ব্যবসায়ীদের পকেটে যেত, সেটিতে এখন বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন এই শিল্পে বড় ধরনের অগ্রগতি সাধন করেছে, আরো করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিবাচক এই ধারা দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেটির বড় প্রয়োজন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App