×

জাতীয়

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে নামছেন ঊর্ধ্বতনরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০১:৩২ পিএম

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে নামছেন ঊর্ধ্বতনরা
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ শনিবার থেকেই তাদের মাঠে নামার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। রাজধানীর গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চলাচলের সময় সব গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা, বাসের ভেতর চালক ও হেলপারের ছবিসহ পরিচয় ও ফোন নম্বর টানানো, সিটবেল্ট বাঁধা নিশ্চিত করা, স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল চালু করা প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের ‘ঢাকা শহরের ট্রফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ সংক্রান্ত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসবের মধ্যে রয়েছেÑ সব মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে বাধ্যতামূলক হেলমেট পরার পাশাপাশি সিগন্যালসহ আইন মানতে বাধ্য করা, মহাসড়ক বা দূরপাল্লার বাসে চালক এবং যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা, ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাসের দুই পাশের ১০০ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপারের অন্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ করা, ফুটওভার বা আন্ডারপাস ব্যবহারকারীদের ‘ধন্যবাদ’ দেয়ার ব্যবস্থা করা, ফুটওভার ও আন্ডারপাসগুলোর পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১৮ আগস্টের মধ্যে শহরের সব সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও রোড সাইন দৃশ্যমান করা, ফুটপাত দখলমুক্ত করা, অবৈধ পার্কিং ও স্থাপনা উচ্ছেদ প্রভৃতি। বিআরটিএ, পুলিশ ও দুই সিটি করপোরেশনকে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। সভায় এসব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে পুলিশকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সভায় বলা হয়, শহরে রিমোট কন্ট্রোল অটোমেটিক সিগনালিং চালু করতে হবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ জন্য দুই পক্ষকে সময় দেয়া হয়। মহাখালী ফ্লাইওভারের পর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অন্তত দুটি স্থানে স্থায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। পাশাপাশি দৈবচয়নের ভিত্তিতে যানবাহনের ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার সিদ্ধান্তও হয়। স্কুল সময়ে যেখানে সেখানে রাস্তা পারাপার বন্ধে শিক্ষার্থী, স্কাউট এবং বিএনসিসির সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মোটরযানকে পরিদর্শকের সামনে হাজির করা, রুট পারমিট বা ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোকে দ্রæত ধ্বংস করার সম্ভাব্যতা যাচাই করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়ার সংশোধন করাসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত হয় সভায়। আজ শনিবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও মহাপরিচালক (জিআইইউ) ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এসব বিষয়ে সমন্বয় করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উপপরিচালক (সক্ষমতা বিকাশ) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ রাসেল জানান, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সাত রাস্তা মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যে ২২টি ইউলুপ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেগুলো বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App