×

জাতীয়

সেচ দিয়ে চলছে প্রতিদিন ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০১:৫১ পিএম

সেচ দিয়ে চলছে প্রতিদিন ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা
গোপালগঞ্জে কালনা ফেরিটি প্রতিদিন সেচ দিয়ে চলছে। আবারো ডুবে যেতে পারে ঘাটে চলাচলকারী এই ৪ নম্বর ফেরিটি। এর তলদেশে অসংখ্য ছিদ্র থাকায় এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে ফেরিটি। ঘাটে আরেকটি ফেরি থাকলেও ইঞ্জিনের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। তাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করানো হচ্ছে শত শত যানবাহন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধুমতি নদীর ওপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনার এই ফেরি ঘাটটি। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের পুরনো ফেরি হওয়ায় এটি চলাচলে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এই ফেরিঘাট দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। এখন ঈদের সময় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসা গরু এই ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দূরত্ব কম হওয়ায় যানবাহনের চাপ এ ঘাটে ব্যাপক। কালনা ফেরিঘাটের ইজারাদার মঞ্জুর হাসান বলেছেন, এখানে যানবাহন পারাপারকারী ৪ নম্বর ফেরিটির তলদেশসহ বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। দুই-তিনবার পারাপার করার পর সেচ দিয়ে আবার চালাতে হচ্ছে। ততক্ষণে ফেরিঘাটের দুপাড়ে জমে যায় শত শত যানবাহন। দ্রæত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে যে কোনো সময় আবারো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর ঘাটে বসে থাকা ১৬ নম্বর ফেরিটিতে নতুন করে বেশি শক্তির ইঞ্জিন বসানো না হলে যানবাহন পারাপার অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফেরির চালক খালাসিরা বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ৪ নম্বর ফেরিটি এ ঘাটে চলছে। এর মধ্যে বডির কোনো মেরামত করা হয়নি। এখন ফেরিটির তলদেশের বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র ও উপরের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ১৬ নম্বর ফেরিটি বন্ধ থাকায় ৪ নম্বরের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোড দিতে হচ্ছে। সেচ দিয়ে ফেরি চালাতে হচ্ছে। দ্রæত ফেরিটি মেরামত করা না হলে আবারো যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঘাটটি দিয়ে চলাচলকারী ট্রাক চালকরা জানান, কালনা ঘাটের ফেরি প্রায়ই অকেজো হয়ে পড়ে। ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। দুটো ফেরির একটা প্রায়ই অকেজো থাকে। এ ঘাটে আগে একটা ফেরি ডুবেছিল। নতুন একটা ফেরি দেয়া হয়েছে কিন্তু ইঞ্জিন বসানো হয়নি। ফেরির এ অবস্থার কারণে দুপাড়ের অসংখ্য যানবাহনকে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ গোপালগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. মো. শরিফুল আলম বলেন, একটি ফেরিতে ইঞ্জিন সমস্যা আরেকটিতে কিছু সমস্যা আছে শুনেছি। বিষয়টি ফেরি ডিভিশনকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। ঈদের আর মাত্র কদিন বাকি। এ সময় এই ফেরি দিয়ে যানবাহন যাতে সঠিকভাবে চলাচল করে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে পারে তার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App