×

জাতীয়

বরিশালে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৩:১৭ পিএম

বরিশালে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় এখনো পশুর হাট জমে ওঠেনি। তবে উপজেলাগুলোর অর্থাৎ গ্রামীণ পর্যায়ের হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে বেশ জমজমাট ভাব চলে এসেছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকাসহ জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫১টি পশুর হাট বসেছে। স্থায়ীহাটের অনুমোদন আগে থেকে নেয়া থাকলেও অস্থায়ী হাটের অনুমোদনের বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গত বৃহস্পতিবার দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ের মাদ্রাসা কমপ্লেক্স সংলগ্ন বৃহত্তর পশুর হাট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে, যা চলবে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত। গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে না হতেই চরমোনাইয়ের হাটটিতে কোরবানির পশুতে ভরে যায় পুরো মাঠ। বিকেল নাগাদ পশু আর বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। হাট থেকে কেউ পশু কিনছেন আবার কেউ হাতে বেশ কয়েকটা দিন সময় থাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাটঘুরে ক্রেতারা বলছেন, শুরুর দিকে হওয়ায় বিক্রেতারা আকার-আকৃতি ভেদে পশুর যে দর হাঁকছেন তা আকাশচুম্বী, তাই আরো ২-১ দিন গেলে পশুর দর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। আর বিক্রেতারা বলছেন, খাদ্যের খরচ বেড়েছে তাই পশুর দরও বেড়েছে, তবে পশুর যে দর হাঁকানো হচ্ছে তা গত বছরের হিসেবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। হাট ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল সদর ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল নিয়ে এসেছেন এই হাটে। আবার রয়েছে গৃহস্থালির গরু-ছাগলও, যার প্রতি ক্রেতাদের দুর্বলতাও রয়েছে বেশ। হাটে আকার ভেদে ছাগল বা খাসির দর হাঁকা হচ্ছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এই হাটেই সাড়ে ৩ লাখ টাকা একটি গরুর দাম হেঁকেছেন রাসেল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। দাম যতই হোক গরু প্রতি খাজনা ১০০ টাকা আর খাসি প্রতি খাজনা ৫০ টাকা আদায়ের এই হাটে ক্রেতাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পাইকারও রয়েছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকাসহ জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫১টি পশুর হাট বসেছে। স্থায়ীহাটের অনুমোদন আগে থেকে নেয়া থাকলেও অস্থায়ী হাটের অনুমোদনের বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে হাটগুলোকে ঘিরে চাঁদাবাজি ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধ এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জালটাকা শনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন-মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে বলে জানান সিটি করপোরেশনের এ কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App