×

জাতীয়

তিন মাসেই সাড়ে তিন কোটি টাকার সড়কের বেহাল দশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০১:৪৭ পিএম

তিন মাসেই সাড়ে তিন কোটি টাকার সড়কের বেহাল দশা
জামালপুর পৌর শহরের মাছিমপুর-বেলটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের তিন মাসের মধ্যে বেহাল দশায় উপনীত হয়েছে। ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় ৪ কিলোমিটার সড়কের কয়েকটি স্থানে ভেঙে যাওয়া ও ফাটল দেখা গেছে। স্থানীয়রা সড়কটি দুর্বলভাবে নির্মাণের কথা বললেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেটা মানতে নারাজ। জানা যায়, রাস্তা নির্মাণের কাজটি পেয়েছে মেসার্স দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে উপঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছেন জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন খান। সরেজমিন দেখা যায়, বেলটিয়া মোড় থেকে সড়ক দিয়ে এগোতেই খুঁপিবাড়ী এলাকা। ওই এলাকার ব্যাংকার রুবেল মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কটি নিচে দেবে ও ফেটে গেছে। এর থেকে একটু সামনেই দ্বীন ইসলামের পুকুরের পাড়ের অংশে প্রায় ৮০ মিটার সড়ক এখনো পিচ ঢালাই করা হয়নি। সেখান থেকে ১শ মিটার পর একটি মুরগির ফার্মের অদূরে পুকুরের পাশের অংশ নিচে দেবে গেছে। জঙ্গলপাড়া মিয়াবাড়ীর মোড়ে সাদেক আলীর বাড়ির সামনে সড়কটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। মিয়াবাড়ী এলাকার আক্তারুজ্জামানের বাড়ির সামনের অংশ নিচে দেবে পানি জমে রয়েছে। নাছিরপুর জুনাব খান ও মাছিমপুর এলাকার বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সামনের কালভার্ট ভেঙে সড়কটি দেবে গেছে। মাছিমপুর জামে মসজিদের সামনে সড়কটি ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জামালপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, সোয়া ৪ কিলোমিটার মাছিমপুর-বেলটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়কটির প্রশস্ত ১৮ ফুট। ২০১৭ সালের ১৫ মে নির্মাণকাজটি শুরু হয়। গত ২০ মে নির্মাণকাজ শেষ হয়। স্থানীয়রা জানান, মাত্র ৩ মাস আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ও দেবে গেছে। এ ছাড়া অনেক স্থানে সড়কের মধ্যে ফাটল ধরেছে। একটি সড়ক নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যে এমন অবস্থাই প্রমাণ করে কাজের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি রয়েছে। পুকুরের পাশ দিয়ে ভালোভাবে পাইলিং করা হয়নি। ফলে পুকুরের পাশ দিয়ে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। সড়ক নির্মাণের সময় এসব কাজ ভালোভাবে করার জন্য কয়েকজন বলেও ছিল। কিন্তু এখন যে পরিবেশ, কিছু বলতে গেলে নিজের বিপদ চলে আসবে। সড়কে অনিয়ম হয়েছে কিনা, সড়কটি যে কেউ দেখলেই বলতে পারবেন। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপঠিকাদার মো. জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে ৮ থেকে ১০ টন ওজনের যানবাহন চলাচলের কথা। কিন্তু ওই সড়কটি দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রæত মেরামতের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App