×

জাতীয়

চট্টগ্রামের খামারিরা দুশ্চিন্তায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০২:৩৫ পিএম

চট্টগ্রামের খামারিরা দুশ্চিন্তায়
এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামের খামারিরা ৮৯ শতাংশ পশুর জোগান দিতে পারবেন। তবে তার পরও প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে গরু আসছে নগরীর বৃহত্তর গরুর বাজার সাগরিকা ও বিবিরহাট বাজারে। এসব গরুর অধিকাংশই ভারতীয় বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ফলে চট্টগ্রামে পশুর খামারিরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নগরীর ২টি স্থায়ীসহ ৯টি পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে। এবারো পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজদের উৎপাতে বাজারে পশুর দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই পশুর দাম সহনীয় রাখতে এসব বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, পথে পথে চাঁদাবাজদের উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবার গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারবেন তারা। এদিকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের বাইরে কেউ পশুবাহী ট্রাক থামিয়েছে এ রকম খবর পেলে তাহলে ওই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজারগুলোতে নিরাপত্তার পাশাপাশি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা খুঁটি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে আড়াই হাজারের বেশি খামারি তাদের খামারে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৪টি পশু লালন-পালন করে বড় করেছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক ভোরের কাগজকে জানিয়েছেন, চলতি বছর কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪টি পশু। গত সপ্তাহ পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে কোরবানি উপযোগী পশু মজুদ হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৪টি, যা মোট চাহিদার ৮৯ শতাংশ পূরণে সক্ষম। দেশের উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকা থেকে আসছে আরো প্রায় ১ লাখ পশু। ফলে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার মিয়ানমার বা ভারত থেকে পশু না এলেও সংকটের আশঙ্কা নেই। চট্টগ্রামের পটিয়ার খামারি আশরাফুল আলম শামিম বলেন, তার খামারে বিভিন্ন সাইজের ১০টি ষাঁড় রয়েছে। গরুগুলোকে মোটাতাজাকরণে ভুসি, খড়, খৈল, নালী ও ঘাস খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেছি। একেকটি গরু ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছি। এদিকে গরু ব্যবসায়ী আলী আকবর ভোরের কাগজকে জানান, সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে ভারতীয় গরু আমদানি কম হলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেনাপোল, পোকখালী, কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর বন্দর দিয়ে সীমিত আকারে গরু আসতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিস) রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অস্থায়ী বাজারগুলো হচ্ছে কর্ণফুলী গরুর বাজার (নূরনগর হাউজিং), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন স্থান (ইজারাদার কর্তৃক নিজ উদ্যোগে জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে), স্টিলমিল বাজারসহ নয়টি পশুর হাট রয়েছে। , কমল মহাজন হাট, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়), মইজ্জ্যারটেক এবং পোস্তারপাড় স্কুল মাঠের অস্থায়ী বাজার। এ ছাড়া দুটি স্থায়ী বাজার হচ্ছে বিবিরহাট ও সাগরিকা গরুর বাজার। প্র্রতিবারের মতো এবারো বাজারগুলোতে চসিক নজরদারি করবে। প্রতিটি বাজারে ৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম থাকবে। এ ছাড়া লাইটিংয়ের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধাও থাকবে চসিক নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলোতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App