×

মুক্তচিন্তা

স্মার্টকার্ড তৈরির কাজে গতি আনতে হবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৮, ০৮:০৬ পিএম

একজন নাগরিকের জন্য এই কার্ড এখন অত্যন্ত জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই কার্ড পেতে দায়িত্বশীল সব নাগরিক আগ্রহী। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চয় গ্রহণ করবে- এমন প্রত্যাশ করছি। এ জন্য জনবল সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করে স্মার্টকার্ড তৈরির কাজে গতি আনতে হবে।

মেশিন অকেজো হয়ে পড়ায় এবং দক্ষ লোকবলের অভাবে স্মার্টকার্ড তৈরি প্রায় বন্ধের মুখে। সে কারণে চলতি বছরের মধ্যে দেশের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ইসির এনআইডি অণুবিভাগের কর্মকর্তারা। এই ব্যর্থতার পেছনের কারণ হিসেবে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তাতেই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ববোধ সম্পর্কে হতাশা জাগে, এর জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রশ্ন ওঠে।

২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থুর টেকনোলজিসের (ওটি) সঙ্গে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৮১৬ কোটি টাকার) চুক্তি করে ইসি। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ৯ কোটি ভোটারের জন্য স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। পরে স্মার্টকার্ড তৈরির বিষয়ে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থুর টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পরে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অণুবিভাগ নিজেরাই স্মার্টকার্ড তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু এ প্রকল্পের আওতায় ৯টি মেশিনের মধ্যে ৫টিই অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি পূরণ না হওয়ায় বেশিরভাগ কর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। ফলে স্মার্টকার্ড তৈরির ধারাবাহিকতায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। সে কারণে প্রতিদিন যে দেড় লাখ কার্ড তৈরির কথা ছিল তা কমে যাওয়ায় ২০১৮ সালের মধ্যে সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড সরবরাহে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪০ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৪ কোটি স্মার্টকার্ড পারসোনালাইজেশন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি নাগরিক স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর রাজধানী ঢাকা ও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়। রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কার্ড বিতরণ করা হয়। একজন নাগরিকের জন্য এই কার্ড এখন অত্যন্ত জরুরি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড কেনা- সব কিছুতেই প্রয়োজন। সময়ের প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্রের ধরনে পরিবর্তন এনে সাধারণ কার্ডের পরিবর্তে স্মার্টকার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই কার্ড পেতে দায়িত্বশীল সব নাগরিক আগ্রহী। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চয় গ্রহণ করবে- এমন প্রত্যাশ করছি। এ জন্য জনবল সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করে স্মার্টকার্ড তৈরির কাজে গতি আনতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App