×

বিনোদন

যদি রাত পোহালে শোনা যেত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৮, ০৩:০০ পিএম

যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা জনপ্রিয় একটি গান ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’। চলুন জেনে নেই গানটি নিয়ে এর গীতিকার হাসান মতিউর রহমানের কথা। ১৯৯০ সালের কথা। আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। সম্মেলনে পরিবেশনের জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি গানের পরিকল্পনা করা হয়। আমার করা ‘আমি বন্দি কারাগারে’সহ কয়েকটি গান তখন বেশ জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের এক নেতা আমাকে বলেন, আমি যেন মলয় কুমার গাঙ্গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সঙ্গে যোগাযোগের পর রাতে গানটি লিখতে বসি। অনেক ভেবেও কোনো লাইন পাচ্ছিলাম না। ঠিক আজানের আগে একটা প্লট পেলাম। মনে হলো রাত তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই!’ সঙ্গে যোগ করলাম, ‘যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই!’ এতে কল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে যেমন বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে, তেমনি জেল থেকে তাকে মুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। এরপর পুরো গানটা শেষ করি। সকাল ১০টায় মলয় কুমার গাঙ্গুলির কাছে নিয়ে যাই। লেখাটা পড়ে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ হয়েছে। চলেন দুজন মিলে সুর নিয়ে বসে যাই।’ লেখার সময় সুরের একটা আইডিয়াও মাথায় ছিল। সেটা শেয়ার করার পর তার জন্য কাজটা আরো সহজ হয়ে যায়। সম্মেলনে গানটি তিনি লাইভ পরিবেশন করেন। শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সবার বেশ প্রশংসাও কুড়ান। তবে গানটি আলোচনায় আসে ১৯৯১ সালে। নির্বাচনের সময় এই গানের সঙ্গে আরো কিছু গান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ ‘জনতার নৌকা’ নামে একটি অ্যালবাম বের করি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চেনাসুর থেকে। একদিনেই সারাদেশে ছড়িয়ে যায় গানটি। ক্যাসেটটি কেনার জন্য মানুষ মারামারি পর্যন্ত করেছে। ভেরিয়েশনের জন্য ১৯৯৭ সালে গানটি সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে আবার গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন নেত্রী। তার সঙ্গে জীবনে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই গানটির প্রশংসা করেছেন। বঙ্গবন্ধুভক্ত অসংখ্য মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App