×

অর্থনীতি

৭৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৮, ০৬:৩২ পিএম

৭৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
২০১৯ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে প্রায় ১৫ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পৃথক দুটি ক্রয় প্রস্তাবের মাধ্যমে এসব পাঠ্যবই সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া, ভারত থেকে ৩০০টি দ্বিতল বাস সংগ্রহের দর প্রস্তাবসহ মোট চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের মোট ৭৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকেদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরের (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৯৮টি লটের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪১০টি বইয়ের জন্য মোট ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এছাড়া, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ১২১টি বইয়ের জন্য ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তিন বলেন, বৈঠকে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন-এসি বাস সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পাধীন ১০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবাসহ ৩০০টি দ্বিতল বাস সংগ্রহের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২৩৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারতীয় কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড এসব বাস সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি/নন-এসি বাস সংগ্রহ (১ম সংশোধনী)’ প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণের আওতায় ৬০০টি বাস আনা হবে। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪৩৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা এলওসি বা ভারতীয় ঋণ। সূত্র জানায়, বাসগুলো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ডিপিপি অনুসারে দরপত্রের কাগজপত্র ভারতীয় ঋণ সরবরাহকারী এক্সিম ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু এতে তারা রাজি হয়নি। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের চাহিদা ও শর্তানুরূপ বাস ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করে না। ফলে এসব ধারার সংশোধন না করলে বাসগুলো সরবরাহের দরপত্রে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে না। পরবর্তীতে দর কষাকষি করে এসব ধারা সংশোধন করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্র থেকে দেখা যায়, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যাবিরণী নিয়ে সভা হয়। সভায় ৩০০টি দ্বিতল ও ১০০টি একতলা নন-এসি বাসের দরপত্র অনুমোদন পায়। অবশিষ্ট ২০০টি একতলা এসি বাস কেনার লক্ষ্যে দরপত্রের ওপর ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক কোনো মতামত বা অনুমোদন দেয়নি। ফলে ২০০টি এসি বাস কেনার বিষয়ে পরে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন নিবিড়করণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলেমিটার সাবমেরিন অ্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ক্রয়ের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান। এজন্য ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এমএম করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব ক্যাবল সরবরাহ করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App