×

জাতীয়

দুই শতাধিক বিঘা জমি নদীতে বিলীন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৮, ০১:২৪ পিএম

দুই শতাধিক বিঘা জমি নদীতে বিলীন
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর ও জোত কাদিরপুর এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ বছরে যে সব জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে তার সিংহভাগ ছিল আম ও খেজুর বাগান। এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে ওই দুটি গ্রাম উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। গত এক মাসে উপজেলার জোতকাদিরপুর ও গোকুলপুর এলাকার ২০-২৫ কৃষকের প্রায় ২ শতাধিক বিঘা জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ সপ্তাহে পানি বৃদ্ধি না থাকায় ভাঙন কিছুটা কমেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে ফের পানি বৃদ্ধি শুরু হলে ব্যাপকভাবে ভাঙন শুরু হবে বলে ধারণা করছেন তারা। জানা যায়, গোকুলপুর গ্রামের মৃত রায়হান মালিথার ছেলে রফিকুল ইসলাম মালিথার গত বছর এবং এ বছরে প্রায় ৪০-৪৫ বিঘা জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে যার সিংহভাগ জমিতে ছিল আম বাগান। একই গ্রামের আজিবার মালিথা ও আস্তুল মালিথার প্রায় ২০ বিঘা, আব্দুল মতিন মালিথার ৫ বিঘা আম বাগান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাশর্^বর্তী গ্রাম জোত কাদিরপুর গ্রামের মুনছুর মালিথার ১৩ বিঘা, কুদরত আলীর ১ বিঘা, শমসের আলীর ৩ বিঘা, হাফিজুর রহমানের ১৫ বিঘা, পাকুড়িয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ৩ বিঘা এবং মালিয়ানদাহ গ্রামের নয়ন পীরের ২ বিঘা আমের বাগান নদীতে চলে গেছে। এ ছাড়াও আরো অনেকের জমি নদীতে বিলীন হয়েছে বলে জানা গেছে। পদ্মা নদী তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, গত এক মাস আগে থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু হয়েছে। পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভাঙন। এ ব্যপারে ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল হাসান বাবলু জানান, বর্তমানে পানি বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় ভাঙন কিছুটা কমে গেছে। তবে ফের পানি বৃদ্ধি শুরু হলে জমির পাশাপাশি তার ইউনিয়নের ২-৩টি গ্রামের অনেক বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। তবে নদী ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নে পদ্মার এই ভাঙনের খবর পেয়েছি এবং ভাঙন রোধ ও প্রতিকারের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App