×

আন্তর্জাতিক

ক্ষুব্ধ মমতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৮, ১১:২৮ এএম

ক্ষুব্ধ মমতা
আসামের নাগরিক তালিকা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেছেন, আসাম থেকে বাঙালিদের জোর করে তাড়ানো হচ্ছে না তো? তা না হলে হঠাৎ সেখানে এত সেনা নামানো হলো কেন? গোটা আসামের ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? দেশের মধ্যেই ৪০ লাখ মানুষকে উদ্বাস্তু বানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকায় অনেকের নাম ওঠেনি, এ অভিযোগ এনে তিনি এ ধরনের কয়েকটি আধার কার্ড ও পাসপোর্টের প্রতিলিপি দেখিয়ে দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিজেপি সরকার অযথা উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করছে। তিনি বলেন, আসামে বাঙালি খেদাও চলছে, বিহারি খেদাও চলছে। দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার নেপথ্য থেকেই আসাম সরকারকে এসব কাজে প্ররোচনা দিচ্ছে। আসামে এনআরসির চলমান প্রক্রিয়াকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে আসাম সরকারের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি কেন্দ্রীয় সরকার। যে ৪০ লাখ নাম তালিকায় ওঠেনি, তার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের বাঙালি রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিহার থেকে আসামে যাওয়া অনেক লোকের নামও রয়েছে তালিকায়। আসাম থেকে এসব মানুষকে তাড়ানো হলে প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপরই সবচেয়ে বড় চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এদের বাঁচান। এদের বিচ্ছিন্ন করবেন না। দেশের মধ্যে থেকেই এভাবে উদ্বাস্তু হয়ে গেল ৪০ লাখ মানুষ, মন্তব্য করেন তিনি। আসামের পরিস্থিতি দেখে আসার জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে সংসদীয় দল সেখানে পাঠানো হবে। প্রয়োজন হলে তিনি নিজেও সেখানে চলে যাবেন বলে জানান মমতা। তবে পশিচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মূল আশঙ্কা এনআরসিকে ঢাল বানিয়ে ফের একটা বাঙালি খেদাও অভিযান শুরু হয়েছে। আসাম থেকে বিতাড়িত হয়ে কেউ তার রাজ্যে আশ্রয় চাইলে রাজ্য সরকার তা বিবেচনা করবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, জাতিসংঘের বিধান অনুসারে উদ্বাস্তু মানুষকে আশ্রয় দেয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নাগরিক তালিকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম বাদ পড়ার ধাক্কা যে পশ্চিমবঙ্গকেই সামলাতে হবে, এটা জানার পরও বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আগে কোনো আলোচনা করা হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App