×

জাতীয়

১১ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতিমালা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৮, ১১:২২ এএম

১১ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতিমালা
জাতীয় স্বার্থে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টরা বহুবার তাগাদা দিলেও দীর্ঘ ১১ বছরেও তা চূড়ান্ত হয়নি। আইনটি চূড়ান্ত করার কার্যকর কোনো উদ্যোগও নেই। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস সচেতনতা সৃষ্টিতে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। সংশ্লিষ্টরা এ অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, ২০০৬ সালে ইউএন রেজুলেশন ৬১/২২৫ শীর্ষক ঘোষণাপত্রে জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে ডায়াবেটিস বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেয়া হয়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির (বাডাস) পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতিমালা সরকারের কাছে দেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাডাসের একাধিক নেতা জানান, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ঘোষণার পেছনে বাডাসের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে এ বিষয়টিকে উদ্বুদ্ধ করা। উপযুক্ত নীতিমালা তৈরি করা। বাংলাদেশ নিজে যেহেতু প্রস্তাবক সেহেতু এ দেশের দায়িত্ব অনেক বেশি। সরকার যাতে তাড়াতাড়ি এই নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে সে জন্য উপযাজক হয়ে বাডাস একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে। খসড়াটি এমনভাবে করা হয় যাতে সরকার দ্রুত সেই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারে। এবং এর জন্য সরকারকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। কিন্তু এরপরও সেই নীতিমালা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ নীতি প্রণয়নের প্রস্তাব সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করলেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর জানা যায়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। স্বাস্থ্য মণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান ভোরের কাগজকে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কয়েকটি আইন চূড়ান্তের কাজ করেছি। এই আইনটি এখনো আসেনি। সম্ভবত আইনটি ঘুমিয়ে আছে। নীতিমালা প্রসঙ্গে বাডাসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ একটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতিমালা করার অঙ্গীকার করেছিল। নীতিমালাটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। নীতিমালটি দ্রুত অনুমোদন করা না হলে অঙ্গীকারটি কাগুজে অঙ্গীকার বলে মনে হতে পারে। এই নীতিমালা প্রণীত হলে স্কুল-কলেজসহ প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী কর্মকান্ড গ্রহণ জোরালো হবে। আশা করছি সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। এবং দ্রুতই নীতিমালাটি মন্ত্রিসভায় উঠবে। তিনি জানান, নীতিমালায় যেসব উদ্যোগ নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হলো, শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যপুস্তকে সচেতনতামূলক রচনা বা নিবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা, ফাস্টফুড ও কোমল পানীয়ের গায়ে যাতে খাদ্যমান উল্লেখ থাকে, শহরের রাস্তাগুলো হাঁটার উপযোগী রাখা, এলাকাভিত্তিক ওয়াকিং ক্লাব, সুইমিং ক্লাব, জগিং ক্লাব বা স্পোর্টস ক্লাব গড়ে তোলার ব্যাপারে উৎসাহিত করা, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও শ্লোগান প্রচারের ব্যবস্থা করা, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগীদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App