×

পুরনো খবর

আ.লীগে ৮ বিএনপির ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০১৮, ০৪:৪৪ পিএম

আ.লীগে ৮ বিএনপির ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশী
দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তীতুদহ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ৮, বিএনপির ৩ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১ মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে রয়েছেন- বর্তমান সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হাশেম রেজা, অপর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক নুর হাকিম এবং সাবেক জামায়াত নেতা ও সদ্য গঠিত (৭-৮ মাস) বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক এবং একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক আলহাজ সাদিকুর রহমান বকুল। ইতোমধ্যেই বিলবোর্ড ও পোস্টার ছড়িয়ে তারা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাসহ ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান দুবছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অপরদিকে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বিগত ৯ বছরে এলাকায় তেমন দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে না পারায় হতাশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এলাকবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি দর্শনাকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ও উপজেলা বাস্তবায়ন করতে না পারায় এলাকাবাসী এবার তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন বলে যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদসহ এলাকার বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতাকর্মী এ প্রতিনিধিকে জানান। দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান দর্শনা পৌরসভা এলাকায় জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দাবি করে মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। নজরুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় গেট বানিয়ে ও ডিজিটাল ব্যানার ঝুলিয়ে গণসংযোগ করে আসছেন। একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক হাশেম রেজা প্রতি ঈদ ও উৎসব পার্বনে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে এলাকায় এসে পরিচিতি পাওয়ার চেষ্টা করেন এবং মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ করে থাকেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাদিকুর রহমান বকুল ও নুর হাকিম নামে বেশ কয়েক জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে নিজের ছবি ও নৌকা প্রতীক সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুনে এলাকা ভরে ফেলেছেন। অপরদিকে বিএনপি থেকে ৩ জন দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় ছবি ও ধানের শীষ প্রতীক সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুনে এলাকা ছেয়ে ফেলেছেন। এদের মধ্যে শিল্পপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর দলের তৃণমূল নেতাকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় গণসংযোগ করে আসছেন। ফলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ও তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অপরদিকে ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার ও তার চাচাতো ভাই মাহমাদুর রহমান তরফদার শাওন ঈদসহ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে এলাকায় ধানের শীষের ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার মাঝেমধ্যে এলাকার দরিদ্র মানুষের মধ্যে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছেন। এ আসনে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ আসনে নির্বাচিত হতে পারেননি। ১৯৭৯ সালে বিএনপির আবু সাঈদ খান, ১৯৮৬ সালে ১৫ দলীয় জোট প্রার্থী মীর্জা সুলতান রাজা, ১৯৯১ সালে জামায়াতের মাও. হাবিবুবর রহমান, ১৯৯৬ সালে বিএনপির মোজাম্মেল হক, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মীর্জা সুলতান রাজা নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আলী আজগার টগর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App