×

জাতীয়

রাউজানে হোটেল-রেস্তোরাঁয় নোংরা পানি ব্যবহার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম

রাউজানে হোটেল-রেস্তোরাঁয় নোংরা পানি ব্যবহার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ রাউজানের প্রাণকেন্দ্র নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকায় মার্কেটের সেপটিক ট্যাংকের মলমূত্র পড়ছে পুকুরের পানিতে। আর সেই ময়লা পানি অবাধে ব্যবহার হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁয়। নোয়াপাড়া পথেরহাটে একাধিক মার্কেটে পরিকল্পিত কোনো ডাস্টবিন না থাকায় মানুষ যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন। অপরদিকে পানি চলাচলের সুষ্ঠু ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় পুকুরে পড়ছে মলমূত্র। জানা যায়, রাউজানের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ রাউজানের প্রাণকেন্দ্র নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকায় রয়েছে কয়েকটি মার্কেট। এর মধ্যে একাধিক মার্কেটে নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন নেই। ফলে মার্কেটের আবর্জনা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান ও বাসাবাড়ির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয়। আর মার্কেটের এই মলযুক্ত পানি অবাধে ব্যবহার হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁয়। এতে করে বিভিন্ন এলাকার থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ এসব অস্থাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এলার্জি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব পুকুরে মশা বংশবিস্তার করছে। আর দুর্গন্ধ তো আছেই। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পথেরহাট বাজারে তিন পাশে তিনটি পুকুরে চারপাশে আছে স্কুল, হাসপাতাল, মার্কেটসহ কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। মুসল্লিরা এ পুকুরের পানি দিয়েই অজু করে এবং পথেরহাট বাজারের বড় বড় রেস্টুরেন্টগুলোতে ওই পানিই ব্যবহার করেন। নোয়াপাড়া পথেরহাট বাজারের একাধিক মার্কেটের পায়খানার মলমূত্র মার্কেটের পেছনের পুকুরে গড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া একাধিক মার্কেটের আবর্জনা ফেলে ডাস্টবিনে পরিণত করেছে ভূমি মসজিদ পুকুর। এসব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীরসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পথেরহাটে এত বড় বাজারে নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন না থাকার ফলে পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। অনেকে তাদের গোসলখানা ও টয়লেটের নোংরা পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে পুকুরে ফেলছেন। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ এই মলযুক্ত পানি ব্যবহারকারী হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে চলেছেন। হোটেলের কর্মচারী কামাল উদ্দিন বলেন, খাবার পানি টিউবওয়েলের আর পুকুরের পানি দিয়ে বাসন, প্লেট ধোয়া ও ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, পুকুরের দূষিত পানি ব্যবহারে চর্ম রোগে ও দূষিত পানি পেটে গেলে আমাশয়, জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এসব এড়াতে আমাদের চারপাশের ময়লা-আবর্জনায় যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App