অনলাইনে জাতীয় সংগীত ও পতাকার অবমাননা করলেই শাস্তি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৮, ১০:১৮ পিএম
অনলাইনে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে এসংক্রান্ত নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এর আগের বৈঠকে এই বিলের বিতর্কিত ৩২ ধারা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী বৈঠকে বিলটির সুপারিশ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে চলমান বিতর্ক ও গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত আমলে নিয়ে তারা বিলের পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম, প্রস্তাবনাসহ বেশ কিছু ধারা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অবমাননাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের অনেক প্রস্তাবই গ্রহণ করা হয়েছে। বিলটি গ্রহণযোগ্য করতে আরো যাচাই-বাছাই হবে। আগামী বৈঠকে বিলের সুপারিশ চূড়ান্ত এবং আগামী অধিবেশনে তা পাস করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,গত ২৯ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এর পর থেকে প্রস্তাবিত আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীরা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, দেশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ইউনিয়ন আইনটির কঠোর ও বিতর্কিত কিছু ধারা বাদ দেওয়ার দাবি তোলে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনদের নিয়ে দুদফা বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি। ওই বৈঠকেই বিলের বিতর্কিত ৩২ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম আইসিটি আইন করা হয়। পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে শাস্তি বাড়িয়ে এটিকে আরও কঠোর করা হয়। এই আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ হয়রানির শিকার হন। ফলে আইনটি বাতিলের দাবিও ওঠে।