×

পুরনো খবর

সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আওয়ামী লীগের ৮ ও বিএনপির ৩ জন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৮, ১২:১৮ পিএম

সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আওয়ামী লীগের ৮ ও বিএনপির ৩ জন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের ভোটের রাজনীতি ততই জমে উঠছে। এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রায় এক ডজন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮, বিএনপির ৩ ও জাতীয় পার্টির ১ জন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপরীতে অনেক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কাজী আজাদুল কবির (কাজী আজাদ), কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সাবেক ক‚টনীতিক ওয়ালিউর রহমান হিটু, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান সজল, কৃষক লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী জোয়াদ্দার ও শৈলকূপা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম। এর মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই। শৈলকূপার অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ঢাকার মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কাজী আজাদুল কবির (কাজী আজাদ) দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ইতোমধ্যেই বিলবোর্ড ও পোস্টারের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন শৈলকূপার তৃণমূল মানুষের মধ্যে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ, মতবিনিময় ও বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাÐসংবলিত বুকলেট বিতরণ করে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে জনগণের দ্বারপ্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনাও শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েব আলী জোয়াদ্দার মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও তার তেমন কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়নি। আসাফোর সভাপতি সাইদুর রহমান সজল মনোনয়নের আশায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। কৃষক লীগের অন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্বাস বিল্ডার্স লি.-এর কর্ণধার নজরুল ইসলাম দুলালও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে ইফতার মাহফিল, জাকাত প্রদান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানসহ তৃণমূলে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। শৈলকূপা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম এক টিভি সাক্ষাৎকারে বর্তমান এমপির সমালোচনা করে আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিলবোর্ড উত্তোলন করেছেন। সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান হিটুর পোস্টার বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ করা গেলেও দুটি ইফতার মাহফিলের বাইরে তেমন একটা গণসংযোগে তিনি নামেননি। বর্তমানে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শৈলক‚পা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকেই বিজয়ী করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকবেন। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিরও একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা সিনিয়র আইনজীবী আসাদুজ্জামান ও খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল ওহাব পরাজিত হওয়ায় ও দলে সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণে এবার দলীয় হাইকমান্ড এই প্রবীণ নেতাকে মনোনয়ন নাও দিতে পারে বলে গুঞ্জন এখন শৈলকূপার সর্বমহলে। এ ছাড়া ১/১১ সরকারের আমলের একটি দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে জামিনে থাকলেও মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তবে বিএনপির সাধারণ কর্মীরা একজন সৎ, দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে তাদের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। এ ক্ষেত্রে নতুন মুখ হিসেবে ইতোমধ্যেই দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া রয়েছেন বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর পৈতৃক নিবাস মাগুরা জেলায় হওয়াতে শৈলকূপা আসনে তার মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশয় রয়েছে। শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন তাকে বিজয়ী করার জন্য সবাই এক সঙ্গে কাজ করবে। সংসদে বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনিকা আলম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App