পাকিস্তানে নির্বাচন উপলক্ষে রেকর্ড সংখ্যক সেনা মোতায়েন
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৮, ১০:৪৪ পিএম
পাকিস্তানে বহুল আলোচিত সাধারণ নির্বাচন আগামীকাল। এ উপলক্ষে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দেশজুড়ে। দেশটির ইতিহাসে কোনো নির্বাচনে এত সেনা মোতায়েন করা হয়নি। মূলত সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে বারবার জঙ্গি হামলা হওয়ার কারণে এই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত বারোটায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে নিজেদের শক্তি দেখাতে বড় বড় জনসভা নিয়ে ব্যস্ত ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৮৫ হাজার ভোট কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ৩,৭১,৩৮৮ জন সৈন্য। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
নির্বাচনের আগের দিন ভোটের সামগ্রী কেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলে, ‘বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মিলে সেনাবাহিনী একটি নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেবে।’
নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে প্রার্থী এবং নির্বাচনী প্রচারণায় একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ১৩ জুলাই বেলুচিস্তান প্রদেশে এক নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার পর নির্বাচনে সশস্ত্র এই বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনও (ইসিপি) নির্বাচনী কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে সেনা মোতায়েনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে রয়েছে।
নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সৈন্যরা নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী শুধু সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার কাজে সহায়তা করবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যাবতীয় প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্ধেকেরও বেশি সময় সেনা শাসনের অধীনে ছিল পাকিস্তান।