কাউখালী শিশু সদনে অস্বাভাবিক আচরণ করছে ৬ শিশু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৮, ০১:৫৯ পিএম
কাউখালীর মারমা পল্লী বড়ডলু মৈত্রী শিশু সদন বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ রেেয়ছে। জানা যায়, শিশু সদনের ৬ শিক্ষার্থী অস্বাভাবিক আচরণ করায় কার্যক্রম বন্ধ রেখে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মারমা পল্লী বড়ডলু মৈত্রী শিশু সদনের অবস্থান। গত ১৬ জুলাই বিকেল থেকে ৬ মেয়ে শিক্ষার্থী আস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। তাদের একজন একটু হেসে উঠলেই বাকিরা খিলখিলিয়ে হেসে উঠছে। একজন কান্না করলে অন্যরাও বিলাপ শুরু করে। একজন শুয়ে হাত-পা ছুঁড়লে বাকিরাও অবিকল তাই করে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে তা বলতে পারছেন না কেউই।
এরপর থেকেই চিকিৎসকের পরিবর্তে স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষ ‘ভ‚তে ধরেছে’ বলে দাবি করলেও স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ওই শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে থাকতে পারে। মূলত বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাবার ভয়ে চিকিসা কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে না।
শনিবার কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম শিশু সদনটি পরিদর্শন করেন। তারা আক্রান্তরা ছাড়াও সদনের অন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার ক’দিন আগে শিশু সদনটির খন্ডকালীন শিক্ষক (প্রধান শিক্ষকের বড় ভাইয়ের ছেলে) অংচাচিং মারমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব কারণে ঘটনাটি নিয়ে বেশ কৌত‚হলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় চিংথোয়াই কারবারী বলেন, এ ঘটনায় তাদের মনে ভয় তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অংচিনু মারমা জানান, দুই শিক্ষার্থীকে তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সদনের সব শিক্ষার্থীকে ছুটি দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কার্যক্রম শুরু করব।
মেডিকেল টিম ছাড়া ওই শিশু সদনে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কেউ যাননি। গত শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে ইউএনও জহিরুল হায়াতের কাছে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। চিকিৎসক প্রদীপ কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান, ভার্জিনিটি টেস্ট (কুমারিত্ব পরীক্ষা) ছাড়া যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।