×

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৮, ০১:০০ পিএম

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে ৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০০ কোটি টাকা) দেবে বিশ্ব ব্যাংক। এ তথ্য স্বীকার করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট চিফ (প্ল্যানিং উইং) এ ই মো. মহিউদ্দিন ওসমানি জানান, বিষয়টি এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কোনো আলামত এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। তারা যেহেতু এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আছে তাই তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার বিষয়টি আমাদের ওপরই বর্তায়। প্রসঙ্গত, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় গত বছর বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ২০০০ কোটি টাকা) সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ। মহামারী ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের যে ৭৫টি দেশকে বিশ্ব ব্যাংক সহযোগিতা করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছিল বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে দুদিনের সফরে গত ১ জুলাই বাংলাদেশে এসেছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এরপর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। এ কারণে স্বেচ্ছায় নিরাপদে বাড়ি ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা দেয়া হবে। বিবৃতিতে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলেও উল্লেখ করেন। চলতি মাসেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা শুভ্রামণি জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের কল্যাণে প্রকল্প অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বব্যাংকের অনুদান ছাড় শুরু হবে। জানা গেছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকতা ভোরের কাগজকে জানান, এতদিন রোহিঙ্গাদের যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে এর সবই ছিল স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার। এখন সরকার এই জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা নেয়া হবে। এতে পুষ্টি, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App