×

জাতীয়

শ্রমিকদের প্রস্তাব ১২ হাজার, মালিকদের ৬ হাজার টাকা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০১৮, ১০:১৭ পিএম

শ্রমিকদের প্রস্তাব ১২ হাজার, মালিকদের ৬ হাজার টাকা

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হিসেবে ছয় হাজার ৩৬০ টাকা প্রস্তাব করেছেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অন্যদিকে এ প্রস্তাবের প্রায় দ্বিগুণ ১২ হাজার ২০ টাকা প্রস্তাব করেছেন শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদিকা বেগম শামসুন্নাহার ভুইয়া। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পর্যালোচনায় সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের তৃতীয় সভায় সোমবার এ প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। মালিক ও শ্রমিক পক্ষের অস্থায়ী দুই প্রতিনিধি ছাড়াও মালিক পক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ, শ্রমিক পক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, নিরপক্ষে প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৪ জানুয়ারি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। এটি পোশাক খাতের অষ্টম মুজরি বোর্ড। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে শ্রম মন্ত্রণালয় মালিক ও শ্রমিকের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে এবারের মজুরি বোর্ডে দু'পক্ষের প্রতিনিধি মনোনীত করে। বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মজুরি প্রস্তাব পাওয়ার পর, তা গেজেট আকারে ঘোষণা করে থাকে শ্রম মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি মুজরি নির্ধারণে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। এসব প্রস্তাব এখন পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, বোর্ডের কাজ শেষ হতে দেরি হওয়ায় রোববার শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়ে অতিরিক্ত তিন মাস সময় চেয়েছেন তারা। ফলে নভেম্বরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সময় পাবেন তারা। তবে বর্ধিত এ সময়ের আগেই অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই মজুরি প্রস্তাব করা সম্ভব হবে আশা করেন তিনি। একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে দেশে এবং বিদেশে পোশাক কারখানা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মজুরি বোর্ডের তৃতীয় সভার মধ্যে মজুরির প্রস্তাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার মধ্যেই প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিয়েই মজুরি প্রস্তাব করেছেন তারা।

ব্রিফিংয়ে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি শামসুন্নাহার ভুইয়া বলেন, পোশাক খাত এবং দেশের সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে ১২ হাজার ২০ টাকা ন্যূনতম মুজরি প্রস্তাব করেছেন তারা। তিনি বলেন, অনেক সংগঠন ন্যূনতম মজুরি হিসেবে ১৬ হাজার টাকা প্রস্তাব করেছে। কেউ কেউ ১৮ হাজার টাকার কথাও বলেছেন। তবে তিনি চান না এমন কোনো মজুরি নির্ধারণ করা হোক, যাতে মালিকদের সক্ষমতার বাইরে চলে যায়।

সর্বশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ নূ্যনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এন্ট্রি লেভেলে একজন শ্রমিক নূ্যনতম পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এর অতিরিক্ত বছরে পাঁচ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন শ্রমিকরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App