১৪ বছরের কিশোরী বাবা ও মার সঙ্গে থাকে ভাড়া বাসায়। এক দিন বাসায় বাবা-মা না থাকার সুযোগে বাড়ির কেয়ারটেকার রুহুল আমীন (২৮) বাসায় ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে রেখে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে পরবর্তীতে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকার। পূর্বের নিয়মে আবার কিশোরীকে হুমকি দিয়ে তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার আহ্বান জানায় রুহুল আমীন। কিশোরী তা তার বাবাকে জানায়। এত দিন ধরে জিম্মি হয়ে থাকা কিশোরীর বাবা এবার র‌্যাব-৭ এর সহায়তা চান। র‌্যাবের পরামর্শে কিশোরীর বাবা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রুহুল আমীনকে ধর্ষণ দৃশ্যের মেমোরি কার্ড দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয় রুহুল আমীন। রোববার রাতে নগরীর ইপিজেড গেট সংলগ্ন শপিং সেন্টারের সামনে রুহুল আমীন মেমোরিকার্ড দিতে এবং টাকা নিতে এলে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান জানান, রুহুল আমীন কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে সুকৌশলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তার অগোচরে সেটি ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে রুহুল আমীন কিশোরীকে ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বার বার শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ফাঁদ পেতে রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে। রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ইপিজেড থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমীন বাগেরহাট জেলার মংলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। সে ইপিজেড নয়ারহাট এলাকায় একটি বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত।