×

খেলা

ফুটবলের দেশ ক্রোয়েশিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৮, ০২:১৪ পিএম

ফুটবলের দেশ ক্রোয়েশিয়া
ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গেলে ফুটবলের নব্য দেশ হিসেবে ক্রোয়েশিয়াকে আখ্যায়িত করতে হবে। তবে শুধু নব্য দেশই না, সেই সঙ্গে শক্তিশালীও বটে। যুগোস্লাভিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর অল্প সময়ের মধ্যে এত ব্যাপক সাফল্য অর্জন করা দেশ হয়তো দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না! মাত্র ৪৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটির ফুটবলপ্রেম দেখে ক্রোয়েশিয়াকে ফুটবলের দেশ বললে হয়তো আপত্তি করবে না কেউই। ক্রোয়েশিয়া ফুটবলের যাত্রা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হলেও এককভাবে বড় কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া হয়নি। ১৯৪০-১৯৪৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ফিফা স্বীকৃতপ্রাপ্ত দল হিসেবে ব্যানোভিনা অব ক্রোয়েশিয়া দল হিসেবে ফুটবল খেলে। কিন্তু ১৯৪৫ সালে ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়ার সঙ্গে একীভ‚ত হলে দলটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া পৃথক দল হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। লুকা মড্রিচের দেশের ফুটবলের নতুন যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর। এর দুবছর পর ১৯৯৩ সালে ফিফা এবং উয়েফার সদস্যপদ লাভ করে। সেখান থেকেই শুরু ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল বিপ্লব! সদস্যপদ লাভের মাত্র তিন বছর পরই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। তখনো ফুটবলে বাংলাদেশের চেয়ে ছয় ধাপ পিছিয়ে ছিল দ্য ব্লাজার্সরা। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ১৯৯৮ সালের বিশ^কাপেই প্রথমবারের মতো তারা অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। শুধু কি তাই প্রথমবার খেলতে এসেই অবাক করেছে ফুটবল বিশ^কাপে। এ ছিল ক্রোয়েশিয়া সোনালি অধ্যায়ের সূচনা। ডেভোর সুকেরদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সেমিফাইনালে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর ৪টি বিশ^কাপের ৩টিকে অংশ নিলেও গ্রুপপর্ব পার হতে পারেনি ইউরোপের এ দলটি। তবে ২০১৮ সালে পঞ্চমবারের মতো খেলতে এসেই বিশ^বাসীকে চমকে দিয়েছেন লুকা মড্রিচরা। গ্রুপপর্বে শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। এরপর এক এক করে ম্যাচ জিতে ওঠে এসেছেন ফাইনালে। আজ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারাতে পারলেই নতুন ইতিহাস তৈরি করবে দ্য ব্লাজার্সরা। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো মাত্র ৪৫ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটির প্রত্যেকে ফুটবলকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন। এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই পেয়েছে ফুটবল বিশ্ব। প্রেসিডেন্ট নিজেই স্টেডিয়ামে এসে মড্রিচ-রাকিটিচদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন। ক্রোয়েশিয়ান জনগণের ফুটবলপ্রেম নিয়ে দলীয় মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ বলেন, লুজনিয়াকিতে যদি জায়গা দেয়া যেত তাহলে ৪৫ লাখ মানুষের সবাই রাশিয়ায় চলে আসত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App