×

জাতীয়

৬ বছরেও অবসান হয়নি নাটকের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৮, ০১:৩৬ পিএম

৬ বছরেও অবসান হয়নি নাটকের
দীর্ঘ ৬ বছরেও অবসান হয়নি নগরীর খালিশপুরের কথিত সীমা হত্যা মামলা নাটকের। আলোচিত ওই ঘটনার দেড় বছর পর আদালতে হাজির হওয়া সীমা এখন পরিবারের কাছে। ইতোমধ্যে তার বিয়েও হয়েছে। নতুন করে সংসার জীবন শুরু করলেও তাকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে ওই নাটকের জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসা পুলিশের এসআই শাহ আলম এখনো সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাও চলমান। প্রাপ্ত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, গৃহকর্মী সীমা হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর নগরীর মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে মাসুদ হাসান ও তার স্ত্রী ফাতিমা ইয়াসমিনের রিমান্ড আবেদন করেন খালিশপুর থানার দারোগা শাহ আলম। এ নিয়ে ওই সময় পত্র-পত্রিকায় কল্পকাহিনী প্রকাশ করা হয় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেখানে মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসান দম্পতিকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ নিয়ে ওই সময় ঢাকার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সীমার ছবিসংবলিত খবর প্রকাশের পর চট্টগ্রামের জনৈক ব্যবসায়ীর বাসার গৃহকর্মীর সঙ্গে ওই ছবির মিল পাওয়া যায়। এরপর এডভোকেট কামরুজ্জামান ভ‚ঁইয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট করা হয়। সর্বশেষ ঢাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহায়তায় ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর দুপুরে সীমাকে খুলনার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় সীমার মা ও মামাকে মুখোমুখি করা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃষ্টের অবতারণা হয়। এরপর সীমাকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জিম্মায় দেয়ার কিছু দিন পর আদালতের মাধ্যমেই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সীমার মা তাকে বিয়ে দেন। ওই ঘটনার পর মামলার মোড় ঘুরে যায়। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে এসআই শাহ আলমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ-সংক্রান্ত এক আদেশ দেন কেএমপির তৎকালীন উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্দুল মান্নান। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এসআই শাহ আলম কারাভোগও করেন। বর্তমানে তিনি কারামুক্ত হলেও আবারো কথিত সীমা হত্যা মামলাকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি শিল্পপতি মাসুদ হাসানের পক্ষ থেকে কেএমপি কমিশনারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলেও সেটি রিসিভ হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তার লিখিত অভিযোগটি দৈনিক পূর্বাঞ্চলের হস্তগত হয়েছে। সেটিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এসআই শাহ আলম তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। নতুন করে তার ফ্যাক্টরিতে টিভি ক্যামেরাসহ সংবাদ কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে তিনি ও তার পরিবার নতুন বড় কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়েছে। কেএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং) সোনালী সেন বলেন, এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলাটি রয়েছে সেটি এখনো চলমান। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত আদেশটিও এখনো বহাল আছে। তবে খালিশপুর থানার বরখাস্তকৃত এসআই মো. শাহ আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে রিং দেয়ার পর সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরই লাইনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ওই একই নম্বরে একাধিকবার রিং দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App