×

জাতীয়

পাঁচ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০১৮, ১১:১০ এএম

সারাদেশের ৫ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয়জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোরে ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোর, নাটোর ও লক্ষ্মীপুরেএসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত দলে সদস্য ও বিভিন্ন মামলার আসামি রয়েছেন। এ সময় বিদেশি অস্ত্রসহ গুলি ও বিভিন্ন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. নুরা ওরফে নুরু (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ডায়মন্ড মেলামাইন কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহত নুরু একজন মাদক ব্যবসায়ী। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ার মিরপুরে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোন্না (৩৫) ও রাসেল আহম্মেদ (৩০) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি এ ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি নাইম এমএম পিস্তল, ১টি দেশি ওয়ান শুটার গান, ২টি কার্তুজ, ১২ রাউন্ড গুলি ও ৪০ লিটার চোলাই মদ, ১৫শ পিস ইয়াবা ও ২৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ফুটু ওরফে মোন্না রাজারহাট মোড় এলাকার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে ও রাসেল আহম্মেদ একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে বলে জানা গেছে। র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাই মিনুল জানান, মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী মিরপুর উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের আনন্দ বাজার বালুচর সংলগ্ন জোয়াদ্দারের ইটভাটার কাছে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া র‌্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য কর গুলি ছোড়ে। জবাবে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। যশোর যশোরের মণিরামপুরে দু’দল ডাকাতের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে যশোর-রাজগঞ্জ সড়কের কোদলাপাড়া জামতলা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে নিহত যুবকের (৩২) নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যশোরের মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, খেদাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ বুধবার ভোরে যশোর-রাজগঞ্জ সড়কের কোদলাপাড়া জামতলা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে দু’দল ডাকাতের বন্দুকযুদ্ধে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নাটোর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওসমান গণি (৩৮) নামে ৫ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি, নিহত ওসমান গণি মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বাহিমালি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত ওসমান উপজেলার গুরুমশইল গামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুই সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ৭.৬২ বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিন, পিস্তলের গুলির খালি খোসা ও বাদামি রঙের ৪১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, রাতে বাহিমালি মোড়ে কিছু লোকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‌্যাবের একটি টহল দল সেখানে যায়। একপর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হলে তারা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিরা পালিয়ে যান। আহত যুবককে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসময় র‌্যাবের দুই সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আহমেদ ও কনস্টেবল এনামুল হক আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আসামি ছিনতাইকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানা ওরফে সুরাইয়া সোহেল (৩২) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। বুধবার ভোরে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের সিংয়েরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৩ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড গুলির খোসা এবং ৩শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সোহেল একই উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামের মৃত আবদুল মুনাফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের ৬ মামলাসহ ২২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যমতে রায়পুরের চরপাতা ইউনিয়নের সিংয়েরপুল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ইয়াবা উদ্ধারে পুলিশ অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীর পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সহযোগীদের গুলিতেই সোহেল গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App