×

জাতীয়

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-আমেরিকা সরাসরি ফ্লাইট: বিমানমন্ত্রী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০১৮, ০৮:৫৭ পিএম

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-আমেরিকা সরাসরি ফ্লাইট: বিমানমন্ত্রী

দীর্ঘ দেড় যুগ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকার ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর আশার বাণী শোনালেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকাতে সরাসরি ফ্ল্যাইট চালু করতে আগ্রহী। আমরা ছোট বিমান ক্রয় করার পর অনতিবিলম্বে আমেরিকাতে সরাসরি ফ্ল্যাইট চালু করার চেষ্টা করব।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আবদুল মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকার ফ্লাইট চলাচল বন্ধ। তা ছাড়া আমেরিকাতে ফ্লাইট নামার যে শর্ত আছে, সেগুলো বাংলাদেশ পূরণ করতে পারছে না বলে ফ্লাইট চালু হচ্ছে না-এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান কামাল বলেন, ‘আমি নিজেও চাই বাংলাদেশ থেকে বিমান সরাসরি আমেরিকায় যাক। কিন্তু আমাদের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যদি সেখানে যায়, তাহলে যাত্রী পাওয়ার জন্য সেখানে অর্থাৎ আমেরিকায় ৩-৪ দিন বসে থাকতে হয়। এ জন্য আমাদের বিমানের ক্রুসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আমেরিকাতেই থাকতে হয়। এতে অনেক লোকসান হয়। তাই আমরা ছোট বিমান কিনছি। আমরা ২০০-২৫০ যাত্রীবাহী বিমান কেনার পর অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ-আমেরিকা ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করব।’

লাভে বিমান : আয়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) বেগম হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী জানান, বিমানের ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে বার্ষিক নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হয়েছে। এ হিসাবে ওই অর্থবছরে বিমানের ৪ হাজার ৫৫১ দশমিক ৫২ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৫০৪ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লাভের পরিমাণ ৪৬ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

বিমানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বিমানকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অত্যাধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পূর্বের তুলনায় অধিক যাত্রী পরিবহন ক্ষমতাসম্পন্ন উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় বোয়িং কোম্পানি থেকে ইতিমধ্যে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। আগামী আগস্ট ও নভেম্বর মাসে আরও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার বহরে যুক্ত হবে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে বিমানে আরও দুটি বোয়িং যুক্ত হবে।

বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, গ্রাউন্ড-ব্যাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয়ের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব উপকরণ কিছু বিমানের কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে বিমানের গ্রাউন্ড ও ব্যাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানের বার্ষিক নিরীক্ষা রিপোর্টেও আয় বৃদ্ধির তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, বিমান গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যা আয় করেছে তার চেয়ে কম ব্যয় করায় লাভ হয়েছে ৪৬ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এখানে পর্যটন শিল্পের অনুকূলে অফুরন্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ উন্নয়নে সরকার বহুমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

রহিম উল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সারাদেশে ৮০০টি স্পষ্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোর উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App