×

জাতীয়

জেএমবি প্রকাশক বাচ্চুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তিন মাসে আগে : পুলিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০১৮, ০৩:৩২ পিএম

জেএমবি প্রকাশক বাচ্চুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তিন মাসে আগে : পুলিশ
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মুন্সীগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুক্তমনা লেখক ও প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে জেএমবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যা করার জন্য তিন মাসে আগে পরিকল্পনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত বাচ্চু হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুর রহমান ২৪ জুন গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পুলিশকে জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিহত আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান। পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নিহত আবদুর রহমান জানিয়েছে, জেএমবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করা হয়। তিনি নিজেই শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি করেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ৪ জন উপস্থিত থাকলেও নেপথ্যে ছিল আরও দুই জন। বাচ্চুকে হত্যার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন মাস আগে গাড়ি চালক পরিচয়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের বালুরচর ইউপির খাসমহল কালীনগর গ্রামে প্রবাসী ইয়াকুব আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে শাহজাহান বাচ্চু হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হয়। মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, গত ২৪ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা টিম, কাউন্টার টেররিজমের ইউনিট, মুন্সীগঞ্জ ও বগুড়া জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের একটি দ্বিতল ভবনের জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক করা হয় আবদুর রহমান ওরফে লালু, সাঈদ, আক্কাস ও কাওসার নামের ৪ জঙ্গি সদস্যকে। নিহত আবদুর রহমান পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ঢাকাইয়াপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তিনি জেএমবি’র ঢাকা বিভাগের সামরিক শাখার কমান্ডার। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত ও অপর আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে সেসব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। শিগগিরই এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে। পুলিশ সুপার বলেন, জঙ্গি আবদুর রহমানের তথ্য মতেই বুধবার রাত ২টার দিকে কালীনগর গ্রামে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় তল্লাশী করে আলমারির ড্রয়ারের নিচ থেকে একটি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি ও রান্নাঘর থেকে ৪টি তাজা হ্যান্ডগ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরে ফেরার পথে মোটর সাইকেল দিয়ে সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দৌড়ে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন আবদুর রহমান। তাকে উদ্ধার করে সিরাজদীখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App