×

পুরনো খবর

বিএনপিতে একক, আ.লীগে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৮, ১২:৩৮ পিএম

বিএনপিতে একক, আ.লীগে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গাজীপুর-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের সমর্থন আদায়ে প্রার্থীরা নানা তৎপরতা শুরু করেছেন। মনোনয়ন পেতে এলাকায় দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি এসব প্রার্থী দলের হাইকমান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ চায় আসন ধরে রাখতে চায় আর ২০ দলীয় জোট তথা বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ জয় পায় ৫ বার, বিএনপি ৪ বার এবং জাতীয় পার্টি পায় একবার। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবারো তারা চান মেহের আফরোজ চুমকিকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হোক। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ডাকসুর ভিপি ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মো. আখতার উজ্জামানও এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়। এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তবে দীর্ঘদিনেও বিএনপির পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি ঘোষিত না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারো জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তবে বিএনপি বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হারানো আসন পুনরুদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে তারা। কার্যত এ আসনে ভোটযুদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই। কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আংশিক এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও বিএনপির একক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি আবারো প্রার্থী হতে চান। তিনি ২০০৮ সালের নবম এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমপি নির্বাচিত হন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এ ছাড়া ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামানও মনোনয়ন চাইবেন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আখতারুজ্জামান এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। চিত্রনায়ক ফারুকও এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে তার কর্মী-সমর্থকদের কাছে। এ আসনে ২০ দলীয় জোটের একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছাত্রদল নেতা গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের নামই শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের কাছে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নিজের মতো করেই এলাকা গোছাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামানও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। মনিরুজ্জামান বিএনপির সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। এদিকে জেলা বিএনপি এখন আংশিক কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে চলছে। এতে করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছেই। ২০০৯ সালের নভেম্বরে এ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সে কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি পরবর্তী সময়ে সিনিয়র সহসভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন। দীর্ঘদিন সেই ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে। অঙ্গ সংগঠনও দীর্ঘদিন ধরে একই কমিটি দিয়ে চলছে। এ অবস্থায় এ আসনে উভয় জোটেই হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আজম খান এ আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, আখতার উজ্জামান জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হয়েও কালীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে এবার যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আলম বলেন, সরকারের রোষানলে পড়ে আমাদের নেতাকর্মীরা এখন মামলা-হামলায় ভারাক্রান্ত। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App