×

জাতীয়

ব্যাহত হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কার্যক্রম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০১৮, ১১:৫২ এএম

ব্যাহত হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কার্যক্রম
লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কার্যক্রম। জেলা অফিসগুলোতে নেই কোনো প্রোগ্রামার। অফিসগুলোর প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে লোকবল সংকট। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতাবলে ২০১৫ সালে কম্পিউটার কাউন্সিলের ২টি প্রকল্প থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপজেলা পর্যায়ের সহকারী প্রোগ্রামার পদে অস্থায়ীভাবে ১৮৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে লোকবল সংকটের কারণে জেলা পর্যায়ে সরকারি অফিসগুলোতে প্রযুক্তি-যন্ত্রের তদারকি না থাকায় অনেকটাই থেমে আছে সার্বিক কাজ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি অফিসগুলোর ই-সার্ভিস কার্যক্রম। সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের এই জনবল সংকট নিরসনে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে প্রোগ্রামার পদে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। পরে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ করে পরীক্ষা সম্পন্ন শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর ৫৬ জনকে জেলা পর্যায়ের জন্য প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। কিন্তু এই সুপারিশের পরপরই সহকারী প্রোগ্রামারদের কয়েকজনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে প্রোগ্রামার পদে নিয়োগ আটকে যায়। জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার নূরুল আমীনের দায়ের করা হাইকোর্টে এক রিটের পর গত ৬ ডিসেম্বর অধিদপ্তরকে ওই সংক্রান্ত জবাব দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের জবাবে বিস্তারিত তুলে ধরে এক চিঠিতে বলেন, শর্তসাপেক্ষে সহকারী প্রোগ্রামার পদে ২০১৫ সালে ১৮৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত তাদের সেই শর্ত পূরণ হয়নি, তাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, এমনকি পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য বলেও বিবেচিত হননি। ফলে আইসিটি অধিদপ্তরে জনবল সংকট থাকায় পিএসসির মাধ্যমে নতুন জনবল নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহকারী প্রোগ্রামার বলেন, ‘প্রয়োজন ছিল বলেই আমাদের সরকার প্রকল্প থেকে রাজস্বে এনেছে। এখন কেন আমাদের ওপর অন্যায় করা হবে? আমাদের এখনো স্থায়ী করা হয়নি। তাছাড়া আমাদের পদোন্নতি না দিয়ে আলাদা করে প্রোগ্রামার নিয়োগ করা হচ্ছে। তারা যদি নিয়োগ পায় তাহলে আমাদের তো আর পদোন্নতি হবে না। যদিও পদোন্নতির জন্য চাকরির ৫ বছর হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় তিন বছর হয়ে গেল, এসআরও জারি হয়নি, এমনকি স্থায়ীও হয়নি। সরকার ও কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহেলা করছে। এ কারণেই আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনে গেছি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আইসিটিতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, আইসিটি কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও বেগবান করতে এবং ই-সার্ভিস টেকসই করার জন্য আইসিটি অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। জেলা পর্যায়ে প্রোগ্রামার পদ থাকা সত্তে¡ও পদগুলো ফাঁকা রয়েছে। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মামলার বিষয় ও অধিদপ্তর বাস্তবায়নের কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম কথা বলতে রাজি হননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App