গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। এই সিটিতে আগামী ২৬ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার ইফতার মাহফিল ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের আড়ালে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে গেছেন। আজ থেকে সরাসরি নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সেভাবে প্রস্তুতি ও সূচিও তৈরি করেছেন তারা।

জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে টঙ্গীর বোর্ডবাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। আজ ১০টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার পথসভা করবেন বলে জানান তিনি।

বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সকালে বাড়িতে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। দুপুরের পর পুবাইলের দিকে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। সেখানে তিনি গাড়িতে থেকে গণসংযোগ করবেন।

সিটি করপোরশেন নির্বাচনের প্রথম দফা তফসিল অনুযায়ী, গত ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেদিন খুলনা সিটির ভোট হলেও সীমানা নিয়ে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে গাজীপুরের ভোট স্থগিত ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এবং ইসি পৃথক তিনটি আবেদন করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে ২৮ জুনের মধ্যে গাজীপুরের নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয় ইসিকে।

সামনে রমজান মাস ছিল বলে মেয়র পদের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর ও হাসান সরকার চেয়েছিলেন ঈদের পর ২৬ জু-২৭ জুন যেন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে ইসি। এর পর ১৩ মে ইসির সভায় ২৬ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ১৮ জুনের আগে প্রার্থীরা কোনো প্রচার চালাতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুর। এর মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। মোট মেয়র প্রার্থী সাতজন। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২৫৬ জন ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৮৪ জন।