×

জাতীয়

হাওরাঞ্চলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০১৮, ১১:৫১ এএম

হাওরাঞ্চলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
টানা দুবছর ফসলহানির পর এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘরে ফসল তুলতে হাওরবাসীর কষ্ট হলেও গোলায় ফসল তুলতে পারায় ভাটির জনপদখ্যাত সীমান্ত উপজেলা হাওরাঞ্চল তাহিরপুরের ছোট-বড় ২০টি হাটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ বাজারে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, জুতা, বাচ্চাদের কাপড়সহ জুয়েলারি, ইমিটেশন ও কসমেটিক্সের চাহিদাই বেশি। জমে ওঠা হাটগুলো হচ্ছেÑ তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাগলী, কলাগাও, বড়ছড়া, নতুন বাজার, শ্রীপুর, দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের একতা বাজার, জনতা বাজার, চাঁনপুর, বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের লাউড়েরগড়, বিন্নাকুলী, বালিজুরী ইউনিয়নের বালিজুরী, আনোয়ারপুর, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের তাহিরপুর বাজারসহ উপজেলার অন্যতম বাণ্যিজিক কেন্দ্র সুনামগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার। সরেজমিন উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার বাদাঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে তৈরি পোশাকের দোকানে। বাজারে সবচেয়ে বড় দোকান রয়েল ফ্যাশন। কথা হয় ক্রেতা বীণার সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদে নিজেদের জন্য কিছু না কিনলেও পরিবারের ছোট বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই কাপড় কিনতে হয়। শাড়ি, লুঙ্গির দোকান সোহাগ বস্ত্রবিতানে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা মোশাহিদ তালুকদারের সঙ্গে। জানালেন, পরিবারের ছোট-বড় সবার জন্যই কাপড়, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স কিনেছি। শুভ শ্যূ স্টোরে জুতা কিনতে আসা পাপিয়া হোসেন জানান, ঈদে কাপড় চোপড় কেনা হোক বা না হোক পরিবারের অনেকেরই নজর এক জোড়া ভালো জুতার দিকে। তাই পরিবারের সবার জন্য জুতা কিনেছি। কলেজ ছাত্রী চাঁদনী বললেন, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস, জুতা সবই কিনেছেন, এখন ড্রেস এবং জুতার সঙ্গে ম্যাচিং করে ইমিটেশন জুয়েলারি কিনবেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা দুবছর হাওরের ফসলহানির পর এ বছর একটু কষ্ট হলেও হাওরবাসী গোলায় ফসল তুলতে পেরেছেন। তাই এ বছর গত দুবছরের চেয়ে বেচাকেনা অনেকটাই ভালো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App