×

জাতীয়

সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন কুলাউড়া পৌরসভা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ০৩:০১ পিএম

সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন কুলাউড়া পৌরসভা
সামান্য বৃষ্টিতেই কুলাউড়া পৌর শহরের প্রধান সড়কে বিশেষত এমআর সিটির সম্মুখ এলাকা থেকে ইকো ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে প্রায় ৩-৪শ ফুট রাস্তা ভাসমান পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। যানবাহনের পানি ছিটকে পড়ে চারদিকে। শুধু পৌরসভার সম্মুখ এলাকা নয়, বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, আবাসিক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ভেঙে পড়ে যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা। সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হয় শহরবাসীকে। জানা যায়, পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী। কারণ বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শহরের ভিআইপি রোড নামে পরিচিত কুলাউড়া উপজেলা পরিষদে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা যা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তার গর্তে ও ড্রেনে পানি আটকে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান পানি কমতে বেশ সময় লাগে। পানির উপর দিয়েই চলাচল করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির সময় নিত্যদিনের চিত্র এটি। লাগাতার পানি জমে থাকায় মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সরকারি বরাদ্দ কার পকেটে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মনে? এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন পৌরবাসী। সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আবার কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে থাকে। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি উঠতেও দেখা যায়। পৌর শহরের ব্যবসায়ী রেদওয়ান হোসাইন বলেন, বর্ষায় পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা আঁচ করতে হয়তো আর বেশি দিন অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। মুষলধারে নয়, থেমে থেমে যে বৃষ্টি হয় তাতেই ডুবে যায় শহরের প্রধান রাস্তা। জলমগ্ন হয় প্রতিটি রাস্তাঘাট, কাঁচাবাজার, দোকানপাট, স্কুল আর পাড়া-মহল্লা। পুরোদমে বর্ষা শুরু হলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। শহরের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর কুলাউড়া শহরকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই দশকে ‘সি’ থেকে ‘বি’ এবং ‘বি’ থেকে গত বছরে ‘এ’ গ্রেডের মর্যাদা লাভ করে পৌরসভাটি। অথচ এ পৌরসভায় আজও প্রথম শ্রেণির কোনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুল শিক্ষক আমিনুল হক বলেন, ড্রেনেজ লাইন নিয়মিত পরিষ্কারের উদ্যোগ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাস্তাগুলো। ফলে ভারি বর্ষণে প্রতি বছর ছন্দপতন হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমরা আসলে শহরে না গ্রামে বাস করি ঠিক বুঝতে পারি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App