×

জাতীয়

সংস্কারের নামে সারা বছরই ইট বিছিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ০১:১৭ পিএম

সংস্কারের নামে সারা বছরই ইট বিছিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা
ঈদযাত্রায় এবারো ভোগান্তির শঙ্কা যশোর অঞ্চলের ৪টি মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের। উঁচু-নিচু আর ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহন চলাচলই দুষ্কর। স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছরই সংস্কারের নামে ইট পাটকেল বিছিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা চলে। কিন্তু ভারি বৃষ্টি হলেই তা ফিরে যায় আগের অবস্থায়। এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছেন যাত্রী সাধারণ। বরাবরের মতো সড়ক ও জনপথ বিভাগের আশ্বাস, শিগগিরই সংস্কার করা হবে সড়কগুলো। এবার ঈদে যশোর-খুলনা, যশোর-বেনাপোলসহ এ অঞ্চলের ৪টি মহাসড়ক দিয়ে ঘরে ফিরবে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। কোথাও উঁচু-নিচু আবার কোথাও পিচ উঠে বেহাল দশা যশোর-খুলনা মহাসড়কের। রাজধানীসহ দূরপাল্লার ৩২টি রুটের যান চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। খানাখন্দের কারণে মহাসড়কটির বকচর, মুড়লি মোড়, রাজারহাটসহ বিভিন্ন অংশে এখন চলাচল করাই মুশকিল। একই অবস্থা যশোর-মাগুরা, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল সড়কের। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছরই সংস্কারের নামে ইট বিছিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা চলে। কিন্তু একটু ভারি বৃষ্টি হলেই তা ফিরে যায় আগের অবস্থায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, যশোরসহ ৪ জেলা সড়কের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একনেকে প্রস্তাব অনুমোদন হলেই মূল কাজ শুরু সম্ভব হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-খুলনা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-মাগুরা মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ৪টি মহাসড়ক। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ২০১৪ সালে যশোর অংশের ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সদরের মুড়লি মোড় থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়ক ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়। ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয় অভয়নগরের রাজঘাট থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার অংশের সড়ক। অভিযোগ ওঠে, অত্যন্ত নি¤œমানের পাথর ও বিটুমিন ব্যবহার করায় দুই বছরের মাথায় মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মহাসড়কের খানাখন্দ ও ভাঙাচোরা সামাল দিতে চাঁচড়া বাজার মোড়, মুড়লি, বকচর, রাজারহাট, বসুন্দিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া লেভেল ক্রসিং, ভাঙাগেট, রাজঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ডালমিল, ঝিকরগাছা বাজার, গদখালী, বেনেয়ালি, নাভারণ বাজারসহ বিভিন্ন ভাঙা অংশ সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। মহাসড়কের চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, যশোর অঞ্চলের মহাসড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। সারা বছরই সংস্কারের নামে ইট বিছিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা চলে। কিন্তু ভারি বৃষ্টি হলেই তা ফিরে যায় আগের অবস্থায়। যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেশ কয়েক এলাকার রাস্তা বেহাল ছিল আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ইট-বালু দিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। সেখানে সাময়িকভাবে মেরামত করলেও দুর্ভোগ কমছে না। গাড়িচালক আব্দুর বারিক শিকদার বলেন, খুলনা-যশোর মহাসড়কে ইট বিছিয়ে রাখার কারণে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় থাকে সব সময়। বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল রহিম বক্স দুদু জানান, খুলনা-নওয়াপাড়া-যশোর ও যশোর-বেনাপোল সড়ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। এসব সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত সহজ করতে সব সড়ক-মহাসড়ক মেরামত করা হচ্ছে। যশোর-বেনাপোল সড়ক সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। খুলনা-যশোর মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App