×

মুক্তচিন্তা

ভারত নিয়ে বিএনপির লুকোচুরি

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ০৮:১৮ পিএম

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দ্য হিন্দুস্তানকে বলেছেন, ‘ভোট সর্বাত্মক না হলে, সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্র চলতে না পারলে’ ধর্মীয় উগ্রপন্থা ‘শক্তিশালী’ হবে। তারা ‘অন্তরালে’ চলে যাবে, ‘গা ঢাকা’ দিবে। তাতে ‘ক্ষতি হবে’ ভারতেরও। বিএনপির এই তদবির আশ্বাস ও কার্যত হুঁশিয়ারিকে ভারত কতটুকু পাত্তা দেয়, তা কোনো রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক কেন, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ভাগ্য গণকদের পক্ষেও এখনই বলা সম্ভব নয়। সবটা দেখার জন্য আমাদের আগামী দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করা ভিন্ন বিকল্প নেই।

‘বাংলাদেশে বিএনপির অবয়ব একটি ভারতবিরোধী দল হিসেবে। এখন মানুষ যদি দেখে বিএনপি ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে, সেটা কি বিএনপির রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষতি করবে না?’ লন্ডন সফররত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসির স্টুডিওতে গত রবিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন। বিবিসির আরো প্রশ্ন ছিল, বিশেষ করে যখন বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের এত ভালো সম্পর্ক এবং বিএনপির ব্যাপারে ভারতে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে, তখন ভারতের বিএনপির ব্যাপারে যে সন্দেহ সেটা দূর করতে বিএনপির কোনো কৌশল কি আছে? বলাই বাহুল্য এসব প্রশ্নগুলো এসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের নয়াদিল্লি সফর এবং সফরের সময় রাজনৈতিক তৎপরতা ও বক্তব্য প্রদানের প্রেক্ষাপটে।

উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব কি উত্তর দিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনার আগে বিএনপির তিন নেতা ভারত সফরে গিয়ে কি বলেছেন, সে সম্পর্কে আলোচনা করে নেয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ভারতের পত্রপত্রিকা পড়ে দেশবাসী হঠাৎই জানতে পারে, ‘বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের দায়িত্ব বাংলাদেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক আবহ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার’ বিষয়ে তদবির নিয়ে বিএনপির তিন নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল মিন্টু ও হুমাউন কবির ভারত গেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিএনপি নেতাদের ভারত সফরের এই আয়োজন ছিল, তাদের সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রচেষ্টার পর।

মৌনব্রত ও দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে ভারত যাওয়া ও সেখানে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, পার্শ্ববর্তী বিদেশিদের সন্দেহ-অবিশ্বাস ভাঙতে গিয়ে বিএনপি পড়েছে দেশবাসীর কাছে গভীর সন্দেহ-অবিশ্বাসের মধ্যে। ভুলটা জনগণের কাছে না বলে প্রথমে বলল ভারতের কাছে। এই ধরনের নতজানু নীতি কৌশল গ্রহণকে লুকোচুরি ও ডিগবাজির রাজনীতি বলাটাই সঙ্গত। যে কোনো রাজনৈতিক দলের দেশবাসীর কাছে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা পথ চলার প্রধান অবলম্বন হওয়া উচিত। বিদ্যমান ছত্রখান অবস্থায় পড়া বিএনপির জন্য এই অবলম্বন এখন আরো জোরদার করার প্রয়োজন ছিল। জনগণ যেহেতু সবকিছুর মালিক, তাই তাদের কাছে প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করা রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। কিন্তু দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে ভারতের মান ভাঙাতে গিয়ে বিএনপি আসলে আরো বিরাট ভুলই করল এবং এই অবলম্বনকে করে দিল আরো ছত্রখান। মর্যাদা তথা লাজলজ্জার বালাই থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল তা করে না। অতীতের বিশাল বিশাল ভুল ও দুষ্কর্ম-অপকর্ম করে বিএনপি যেভাবে রাজনৈতিক গাড্ডায় পড়েছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে ডিগবাজি দিতে গিয়ে গাড্ডায় পড়াটা যেন আরো পাকাপোক্ত হয়ে গেল।

ভারতের বিখ্যাত দ্য হিন্দুস্তান পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমাউন কবির ‘কারাগারে বন্দি থাকা খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান চান ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে’- এই মন্তব্য করে বলেছেন, ‘১৯৮০ ও ১৯৯০ সালের নীতি এখন অতীত। তারেক রহমান চান ভারতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে।’ তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল, ‘ভুল পথে পরিচালিত’ হওয়ার কারণে। সেটা ছিল ‘নেহাতই বোকামি’। কোথাকার পানি আসলে উল্টোপথে গড়াতে গড়াতে কোনো অতীতে চলে গেছে, তা লক্ষ করুন পাঠকরা। ক্ষমতাপ্রাপ্তির মোহ যখন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে পেয়ে বসে, তখন আসলে ‘পাগল বা শিশুর’ মতো অবুঝ ও অন্ধ হয়ে যান নেতারা। নীতি-কৌশল নিতে আর কথা বলতে তখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।

১৯৮০ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন দলের সর্বেসর্বা, প্রধান নেতা। বিএনপির কোনো নেতা এখন যদি বলেন, ওই সময়ের নীতি বিএনপির জন্য অতীত বিষয়। বিএনপি ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিল তখন এবং এটা ছিল নিছকই বোকামি। তবে ঢিলটা কোথায় গিয়ে পড়ে? আর তারেক জিয়ার পরামর্শে যদি এই কথা সফররত আন্তর্জাতিক সম্পাদক হুমাউন কবির বলে থাকেন, তবে এটা সুস্পষ্টভাবে বলা যায় পুত্র ঢিল মেরেছেন একবারে প্রয়াত জিয়ার মাথার ওপরে। জনগণকে অন্ধকারে রেখে ভারত প্রশ্নে নীতি-কৌশল পাল্টাতে গিয়ে তারেক জিয়া বিএনপির গোড়া তথা জিয়াউর রহমানকে ধরে দিয়েছেন টান। এক কথায় ‘সুযোগ্য পুত্র’ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসলে বিএনপির চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতাকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে বোকামি করে ভুল পথে দেশ ও দলকে নিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। আগে বিএনপি বিরোধীরা যা বলতেন, তাই বলছে এখন বিএনপি ও তারেক জিয়া।এখন পাঠকরা লক্ষ করুন, তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বিবিসির সাক্ষাৎকারে উল্লিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তরে কি বলছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি সরকার কখনোই ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেছে বলে আমার জানা নেই।... ভারতের সঙ্গে বিএনপির বৈরী সম্পর্ক নিয়ে যেগুলো প্রচার হয়, সেটা ঠিক নয়।... এমন অভিযোগ করে যে, বিএনপির আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীরা বাংলাদেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের মতো বিষয় ঘটেছে, সেটা ভারতের কাছে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এ ঘটনাগুলো কতটা সত্যি, কতটা তৈরি করা, তা কিন্তু এখনো পরিপূর্ণভাবে আমরা জানি না।’

আরো বিস্ময় রয়েছে পাঠকদের জন্য। লক্ষ করুন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা। ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সঙ্গে বিশাল ও বেশ প্রস্তুতি নেয়া আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারে তিনি বিএনপি দলের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য সুনির্দিষ্ট করতে প্রয়াসী হয়েছেন। অপকর্ম-দুষ্কর্ম বিষয়ে বিএনপি ‘কোনোক্রমেই সম্পৃক্ত ছিল না’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘দেখুন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। দল হিসেবে ওই নাশকতায় বিএনপির কোনো ভূমিকা ছিল না। ভূমিকা যদি থেকে থাকে, তাহলে তৎকালীন সরকারের ছিল।’ বিএনপি জানে না, সরকার জানে! কি অদ্ভুত কথা। একেই বলে, ভুল শোধরাতে গিয়ে আরো আরো ভুলের অক্টোপাসের জালে জড়িয়ে পড়া। দেশবাসীকে অন্ধ-বোকা ভাবলে আসলে এমনটাই হয়।

এখনো মনে পড়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সেই ‘সিপাহি বিপ্লব’-এর স্মৃতি। সেই দিন থেকেই বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির জন্মের ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। ‘রুশ-ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগানে তখন বাংলাদেশকে মুখরিত করে রাখা হয়েছিল। চলছিল কথিত ‘দালালদের’ বাসাবাড়িতে আক্রমণ। ওই দিনগুলোতে ভারতের কবল থেকে দেশকে ‘স্বাধীন’, ‘উদ্ধার’ করা হয়েছে বলে উগ্র ও মারমুখী প্রচার চালানো হয়েছিল। তীব্র ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে প্রয়াত জিয়া দেশকে ‘পূর্বমুখী রাজনীতির’ স্বাদ দিতে ১৯৭৭ সালের ২ জানুয়ারি গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী এবং জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দেশ চীনে। গিয়ে আদায় করেছিলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে’, ‘বাইরের হস্তক্ষেপ রোধে’ চীনের দৃঢ় সমর্থন। এসব করলেও অবস্থা পর্যবেক্ষণে বলা যায়, পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট হয়ে এবং তা পাকাপোক্ত মনে করে তিনি তখনকার ঠাণ্ডা যুদ্ধযুগে চীন-পাকিস্তান-আমেরিকা অক্ষের দিকে ঝুঁকে থাকলেও ভারত-সোভিয়েত অক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে মোটামুটি একটা ভারসাম্যমূলক অবস্থান নিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতার বাইরে কিংবা ভেতরে থেকে ওই ভারসাম্যকে রক্ষা করার কোনো প্রচেষ্টাই নেননি বরং উল্টো কাজ করেছেন। তারেক রহমান সেই কাজের গতিকে করেছে বিস্তৃত ও বেগবান। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগ্রামকে খালেদা জিয়া আখ্যায়িত করেছিলেন ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ হিসেবে। এটা যে মুখের কথা কেবল ছিল না, তার প্রমাণ হচ্ছে রাজখোর আর অনুপ চেটিয়া গংদের বাংলাদেশের মাটিকে সশস্ত্র সংগ্রাম প্রস্তুতির অভয়ারণ্য করে দেয়ার মাধ্যমে। ‘ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে’- এই ধরনের প্রচার খালেদা জিয়া নিজেই করেছেন। এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সাহায্য-সহায়তা করবে না প্রতিশ্রুতি দেয়া, নিঃশর্তে গ্যাস দেয়া প্রভৃতি সব বিষয়ে ছাড় দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু ক্ষমতায় এসে ভারতকে দেয়া সব প্রতিশ্রতিই ভঙ্গ করেছিলেন খালেদা-নিজামী সরকার। ১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানি ও পাচার, ‘বাংলাভাইদের’ আস্কারা-প্রশ্রয় আর পাকিস্তান বা ডন দাউদ ইব্রাহীম কানেকশন ছিল ওই প্রতিশ্রুতি খানখান করে ভেঙে ফেলারই পরিণতি।

সেই নির্বাচনের আগে পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে ডিগবাজির খেলা খেলে শেষ পর্যন্ত বিএনপি আবার চলে গিয়েছিল আগের অবস্থানে। এবারে আবারো সেই সময়কার ‘ভুল’, ‘বোকামি’ আর সরকারের সঙ্গে দলের পার্থক্যের কথা বলে ডিগবাজির খেলা খেলতে চাইছে বিএনপি ভারতের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতি ঘোষিত ও নিরবচ্ছিন্ন কিন্তু বিএনপি খেলতে চাইছে লুকোচুরি ও ডিগবাজির খেলা। অবস্থা পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, দেশের জনগণের মতো ভারতকেও বিএনপি যেন এবারেও ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে চাইছে। রাজনীতির এই লুকোচুরি ও ডিগবাজির খেলার পরিণতি কি হবে তা কেবল আগামী দিনগুলোতেই বলা যাবে। তবে এখানে বৃহৎ দেশ ও শক্তি হিসেবে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপ, নেপাল প্রভৃতি দেশের সম্পর্কের উঠতি পড়তি বিষয়টি বিবেচনায় পার্শ্ববর্তী দেশ সম্পর্কে আগামী দিনে ভারতের নীতি কৌশল কি হতে পারে, তা বিবেচনায় নিতেই হবে।

যতটুকু জানা যায়, সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চরম অবনতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের কূটনৈতিক বোদ্ধা মহলে এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়ে হচ্ছে এই যে, পার্শ্ববর্তী দেশের চরিত্রগতভাবে ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক রাখার কৌশল পর্যালোচনা করে পুনর্মূল্যায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। আর তাই ঐতিহ্যগতভাবে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই কেবল নয়, শত্রুভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক রক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়টি নীতি ও কৌশলের অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এই মত কতটুকু কীভাবে বর্তমান ভারত সরকার গ্রহণ করে বাংলাদেশ তথা বিএনপি ও জামায়াতের ক্ষেত্রে, তা এখনই বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। নির্বাচন যত কাছে আসবে, ততই তা সুস্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত এই ডিগবাজি খেলার সঙ্গে ভারতকে কার্যত একটি হুঁশিয়ারি বার্তাও দিতে সচেষ্ট থাকছে বিএনপি। তিন প্রতিনিধিদলের নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দ্য হিন্দুস্তানকে বলেছেন, ‘ভোট সর্বাত্মক না হলে, সবাইকে নিয়ে গণতন্ত্র চলতে না পারলে’ ধর্মীয় উগ্রপন্থা ‘শক্তিশালী’ হবে। তারা ‘অন্তরালে’ চলে যাবে, ‘গা ঢাকা’ দিবে। তাতে ‘ক্ষতি হবে’ ভারতেরও। বিএনপির এই তদবির আশ্বাস ও কার্যত হুঁশিয়ারিকে ভারত কতটুকু পাত্তা দেয়, তা কোনো রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক কেন, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ভাগ্য গণকদের পক্ষেও এখনই বলা সম্ভব নয়। সবটা দেখার জন্য আমাদের আগামী দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করা ভিন্ন বিকল্প নেই।

শেখর দত্ত : রাজনীতিক, কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App