×

জাতীয়

পাকুন্দিয়ায় গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ০৬:৩২ পিএম

পাকুন্দিয়ায় গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বিয়ের প্রলোভনে কিশোরগঞ্জের এক কিশোরীকে পাকুন্দিয়ায় এনে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিক বাদশা মিয়া ও তার দুই বন্ধু এরশাদ ও রুস্তমকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার তারা মিয়া পাঁচজনের নামোল্লেখ করে থানায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকা গ্রামের বাদশা মিয়া, এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও ছোটআজলদী গ্রামের মামুন মিয়া। মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া গ্রামের তারা মিয়ার কিশোরী মেয়ের সাথে পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে বাদশা মিয়ার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রেমিক বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দেয় এবং পাকুন্দিয়ায় আসতে বলে। এতে প্রলুব্ধ হয়ে ওই কিশোরী গত ১০ জুন বিকাল পাঁচটার দিকে সেলাই মেশিনের উপকরণ কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে পাকুন্দিয়া বাজারে এনে বিয়ের জন্য কসমেটিকস ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে নিয়ে ছোট আজলদী গ্রামের ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে রেনু মিয়ার কলা ক্ষেতে নিয়ে যায়। ওই স্থানে পূর্ব থেকে বাদশা মিয়ার বন্ধু একই এলাকার এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও মামুন অবস্থান করছিল। এ সময় বাদশা মিয়া তার বন্ধুদের সহায়তায় ওড়না দিয়ে ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে ফেলে এবং হত্যার হুমকি দেয়। প্রথমে বাদশা মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। পরে পর্যায়ক্রমে এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও মামুন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভোর তিনটার দিকে ওই কিশোরীকে কলা ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা। ধর্ষিতা হেঁটে ভোর পৌনে চারটার দিকে পাশের পুলেরঘাট বাজারে যায়। সেখানে বাজারের পাহারাদারকে ঘটনা খুলে বলে। পাহারাদার স্থানীয় মেম্বার শাহাদাতের হাতে ওই কিশোরীকে তুলে দেয়। মেম্বার বিষয়টি ওই কিশোরীর ভগ্নিপতি শাহিনকে মুঠোফোনে জানান। মেম্বার ওই কিশোরীকে নিয়ে চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোকা মিয়ার বাড়িতে যান। সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতার পিতা তারা মিয়া, মেয়ের জামাই ও ছেলেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App