×

পুরনো খবর

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮, ০৩:৫৭ পিএম

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসন এখন ভোটের হাওয়ায় সরগরম। নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দুদলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপরতা শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিংও শুরু করেছেন তারা। এ আসনে এবার নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ২ জন এবং ইসলামী আন্দোলনের একক সম্ভাব্য প্রার্থী। খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবণচরা থানার আংশিক এলাকাসহ ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা-২ আসন গঠিত। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। এখান থেকেই খুলনা মহানগর ও জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। এ আসনে ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ বারী নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত আর কোনো জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। ২০১৪ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ রাজ্জাক আলী এ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে এ আসনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে অনেকটাই বদলে গেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, বিয়ে-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাড়া-মহল্লায় রয়েছে এমপি মিজানের অবাধ পদচারণা। কখনো আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে, কখনো উন্নয়নের দাবিতে রাজপথে আবার কখনো বস্তির মধ্যে দাঁড়িয়ে হয়তো কেরাম খেলায় মেতেছেন। সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত অবাধে মিশছেন তিনি। ভোটারদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এদিকে খুলনার সাধারণ মানুষ ও বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ফলে আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তাই সবার দৃষ্টি এ আসনটিকে ঘিরে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান এমপি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি আলী আজগর লবি এবং ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হক। জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে খুলনায় অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আর এ উন্নয়নের কারণে ভোটাররা আবারো আওয়ামী লীগকে বেছে নেবেন। আগামী নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নের স্বার্থে তাকেই মনোনয়ন দেবেন বলেও জানান মিজান। অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের এমপিদের টেন্ডারবাজি, পরিবহন সেক্টর দখল, মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা খুলনার মানুষের কারো অজানা নয়। এদের অত্যাচার-নির্যাতনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে তারা সব অপকর্মের দাঁত ভাঙা জবাব দেবেন। ধানের শীষের পক্ষে খুলনাবাসী ভোট দিয়ে আবারো প্রমাণ করবেন খুলনার মাটি বিএনপির ঘাঁটি। তিনি বলেন, ভোটাররাই আমাদের ভরসা। তারা কখনো আমাদের নিরাশ করেননি। আগামী নির্বাচনেও নিরাশ করবেন না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App