×

বিনোদন

উৎসবের শাকিব-অপু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৮, ০১:০০ পিএম

উৎসবের শাকিব-অপু
উৎসবের শাকিব-অপু
উৎসবের শাকিব-অপু
গত ১১ বছর ধরে ঢালিউডে ঈদ মানেই শাকিব-অপু জুটির ছবি। নামকাওয়াস্তে উৎসবে শামিল থাকা নয়, জুটির ছবি ঈদের প্রতিযোগিতার মিছিলে দর্শকপ্রিয়তায় থেকেছে শীর্ষে। বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসার মৌসুমে নির্মাতাদের প্রধান অবলম্বন শাকিব-অপু। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে, প্রেমে-বিয়ে-তালাকের চক্করে ভেঙে গেছে এই জুটি। দুজনের অভিনীত শেষ ছবি ‘পাঙ্কু জামাই’ মুক্তি পেতে পারে ঈদুল ফিতরে। কেমন ছিল শাকিব-অপুর ঈদের ছবিগুলোর সফলতা? বছর ধরে ধরে জানাচ্ছেন এম রহমান
২০০৭ ২০০৬ সালে আত্মপ্রকাশ শাকিব-অপু জুটির। এক বছরে চারটি ছবি মুক্তি পায় তাদের। প্রতিটি ছবিই তুমুল ব্যবসা করে। ২০০৭ সালের ঈদুল ফিতরে শাকিব-অপুর ছবি প্রথমবারের মতো মুক্তি পায় ঈদে। এই জুটির বিপুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে ঈদের ছবি দুটি। ‘কথা দাও সাথী হবে’ এবং ‘তোমার জন্য মরতে পারি’ সুপারহিট ব্যবসা করে। তবে ঈদুল আজহায়ও শাকিবের অন্য ছবিগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করলেও অপুর বিপরীতে ‘কাবিননামা’ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি পুরোপুরি। ২০০৮ এক ঈদে শাকিব-অপু অভিনীত তিন তিনটি ছবি। ঈদুল ফিতরে রেকর্ডই গড়ে ফেলেন জুটি। ‘আমাদের ছোট সাহেব’ ও ‘যদি বউ সাজো গো’ মারকাট ব্যবসা না করলেও, ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ গানে, প্রেমে, সংলাপে জুটির অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে দর্শকদের স্বীকৃতি পায়। ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়ে ‘আমার জান আমার প্রাণ’ এবং ‘তুমি আমার প্রেম’ শাকিব-অপু জুটির সফলতার মান রাখে। ২০০৯ আরো একখানা রেকর্ড। এক ঈদে চার চারটি ছবি মুক্তি পায় শাকিব-অপুর। ঈদুল ফিতরের ছবিগুলোর মধ্যে ‘মায়ের হাতে বেহেশতের চাবি’ হলসংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড গড়ে। ‘বলো না কবুল’ এবং ‘ও সাথীরে’ ব্যবসায় তেমন চমক দেখাতে না পারলেও ‘জান আমার জান’ সুপারহিট ব্যবসা করে। ঈদুল আজহায়ও সফলতা ধরে রাখে জুটি। ‘মনে বড় কষ্ট’ এবং ‘ভালোবাসা দিবি কিনা’ বল দর্শকদের পছন্দের তালিকায় থাকে। ২০১০ ঈদুল ফিতরে জুটির তিনটি ছবির মধ্যে ‘নাম্বার ওয়ান শাকিব খান’ বছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবির মর্যাদা পায়। বাকি দুটি ছবি ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ‘নিঃশ্বাস আমার তুমি’ শাকিব-অপু জুটির অন্য হিট ছবিগুলোর তুলনায় পিছিয়ে থাকে। ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রেম মানে না বাধা’ এবং ‘হায় প্রেম হায় ভালোবাসা’ ছবি দুটি সেন্সর বোর্ডে অনেকদিন আটকে থাকার পর মুক্তি পায়। ফলাফল ভালো হয়নি। ২০১১ এ বছরের ঈদুল ফিতরে শাকিব-অপু অভিনীত ‘একবার বলো ভালোবাসি’ এবং ‘জান কোরবান’ মুক্তি পায়। ব্যবসা করে গতানুগতিক। ঈদুল আজহায় ‘প্রিয়া আমার জান’ রীতিমতো চমক দেখায়। ‘কিং খান’ ছবিটিও আহামরি ব্যবসা করেনি। ২০১২ ঈদুল ফিতরে আসে জুটির একমাত্র ছবি ‘ঢাকার কিং’। ভালো ব্যবসা করতে সক্ষম হয় ছবিটি। ‘ঈদুল আজহায় ‘জিদ্দি মামা’ এবং ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ প্রত্যাশিত ব্যবসা না করার পর থেকেই শাকিব-অপু জুটির জনপ্রিয়তা কমতির দিকে কিনা এমন প্রশ্ন উঠতে থাকে। ২০১৩ ঈদুল ফিতরে ‘মাই নেম ইজ খান’ এবং ঈদুল আজহায় ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’। শাকিব-অপু জুটির এই দুটি ছবি মুক্তি পায় দুই ঈদে। কিন্তু আগের বছরগুলোর মতো সাফল্য যেন উঁচু মাত্রা ছুঁতে পারে না কিছুতেই। ২০১৪ শাকিব খানের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ মুক্তি পায় ঈদুল ফিতরে। ব্যবসাও মন্দ করে না শাকিব-অপুর ছবি। ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় জুটির তিন ছবি। ‘কঠিন প্রতিশোধ’, ‘হিটম্যান’ এবং ‘সেরা নায়ক’ ছবি তিনটি হল দখলে রাখতে পারলেও পুরনো দিনের মতো ব্যবসা করতে পারেনি। ২০১৫ ঈদুল ফিতরে আসে ‘লাভ ম্যারেজ’, ঈদুল আজহায় ‘রাজাবাবু’। ‘লাভ ম্যারেজ’ পুঁজি তুলে আনলেও ‘রাজাবাবু’ নির্মাণের কারণে সমালোচিত হয়। বছরটি শাকিব-অপুর জন্য একেবারেই ভালো যায়নি। তবুও মন্দা বাজারে ঈদে নিজেদের মান ধরে রাখেন তারা। ২০১৬ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় ‘সম্রাট’। এই প্রথম ব্যবসায় এবং আলোচনায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকে শাকিব-অপু জুটির ছবি। ছবি মুক্তির সময় অপু ছিলেন অন্তরালে। শাকিবও তেমন প্রচারণা করেননি। ২০১৭ ঈদুল ফিতরে যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবির সঙ্গে মুক্তি পেয়ে ‘রাজনীতি’ ছবিটি অবহেলার শিকার হয়। অপু ফিরে এসে ছবির প্রচারণায় অংশ নেন। কিন্তু পরপর দুই বছর শাকিব-অপু জুটির ছবি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। ২০১৮ এ বছর ঈদে শাকিব-অপুর আদৌ কোনো ছবি মুক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। ‘পাঙ্কু জামাই’ মুক্তির কথা রয়েছে। ছবিটি ঈদে মুক্তি পাক তা চান না বলে মিডিয়ায় বলেছেন শাকিব নিজে। ছবিটি অনেকদিন আটকে ছিল শাকিব ও অপুর শিডিউল জটিলতায়। নির্মাতা কোনো মতে ছবিটি শেষ করলেও ঈদে তার মুক্তির বাসনা পূরণ হবে কিনা তা কারো জানা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App