×

জাতীয়

জায়গা দখল করে দিতে কোটি টাকার চুক্তি করে পুলিশ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০১৮, ১২:০৮ পিএম

জায়গা দখল করে দিতে কোটি টাকার চুক্তি করে পুলিশ!
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীর সহকারী সমর চৌধুরীকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের এত উৎসাহ কেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের সচেতন মহলে। নানা সূত্র থেকে অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান তার অধীনস্থ কিছু কর্মকর্তা নিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশের পক্ষ নিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে সমর চৌধুরীর মতো ষাটোর্ধ্ব এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। জায়গা দখল করার বিষয়ে প্রায় কোটি টাকার অলিখিত চুক্তি ও লেনদেন হয়েছে বলেও বোয়ালখালীবাসী এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যেও বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সমর চৌধুরীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর নেপথ্যে ছিলেন সঞ্জয় দাশ নামে এক লন্ডরপ্রবাসী। ইতোমধ্যে সমর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান ভোরের কাগজের কাছে দাবি করেন, ‘চট্টগ্রামে পুলিশের প্রধান হিসেবে আমার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব আমি শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। আমার কাজে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে নির্মোহভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে পালন করছি। আমি সব মানুষের জন্য সমান। এখানে পক্ষপাত করার কোনো সুযাগ নেই। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’ সমর চৌধুরী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর আদালতে গড়ালে, সেই জুডিশিয়াল বিষয়ে কথা বলা সমুচিত নয়’। তবে ভোরের কাগজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ডিআইজি মনিরুজ্জামান বেশ কয়েকবার উত্তেজিত হয়ে এ প্রতিবেদককে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও নানা ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, গত ২৭ মে চট্টগ্রাম নগরী থেকে সমর চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। পরে দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬০ পিস ইয়াবা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করে। সমর দাশের বড় মেয়ে অলকানন্দা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামের স্বপন দাশ ও লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বোয়ালখালী থানার ওসি হিমাংশু দাশ বলেন, ‘আমরা কারো পক্ষ নিয়ে মামলা দিচ্ছি না। কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মামলা নেয়া বা ফাঁসানোর প্রশ্নই আসে না। টাকা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। টাকা লেনদেনের প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App