×

পুরনো খবর

‘এন্ট্রি’ ছাড়া যায় না ঢোকা খিলক্ষেতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০১৮, ০১:০৯ পিএম

‘এন্ট্রি’ ছাড়া যায় না ঢোকা খিলক্ষেতে
‘এন্ট্রি’ ছাড়া যায় না ঢোকা খিলক্ষেতে
খিলক্ষেত থানার গেট দিয়ে ভেতরে যাওয়ার সময় পথ আটকালেন এক আনসার সদস্য। কোথায় যাবেন? তার এমন প্রশ্নের উত্তর দিতেই বললেন ওইখানে যান, এন্ট্রি করে ঢুকতে হবে। পরে থানার গেটের পাশের ছোট কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, এক কনস্টেবল খাতা-কলম নিয়ে বসে আছেন। পরে তাকে থানায় আসার কারণ জানালে বলেন, ওসি স্যার থানায় নেই। পরে আসেন। থানা থেকে বের হওয়ার সময় দেখা গেল গেটের বাইরে বসে আছেন দুই যুবক। তাদের কাছে অপেক্ষার কারণ জানতে চাইলে বলেন, এক এসআইয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। থানার ভেতরে গিয়েও তো অপেক্ষা করতে পারতেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, খাতায় এন্ট্রি করতে গিয়ে থানায় আসার কারণ জানিয়েছিলাম। এসআই থানায় উপস্থিত না থাকায় একটু পরে আসতে বলা হয়েছে। তাই এখানেই অপেক্ষা করছি। পরে দেখা গেল অভ্যাগত সবাই খাতায় নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, আসার কারণ ও সময় এন্ট্রি করে থানায় ঢুকছে। এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) আদিল হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, থানায় কে কি কাজে আসছে সেটার একটি তথ্য আমরা লিপিবদ্ধ করে রাখি। বলতে পারেন, একটু বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, থানাটিতে রয়েছে নানা রকম সমস্যা। এর মধ্যে আবাসিক সমস্যাই প্রধান। এ ছাড়া ৮টি গাড়ি থাকলেও ৬টির অবস্থা নাজুক। থানাটিতে নেই কোনো মহিলা হাজতখানা। ইন্সপেক্টর অপারেশন্সের রুমের দরজায় দেখা যায়, ‘নারী ও শিশুবিষয়ক অফিসার’ লেখা ব্যানার। থানায় নারী আসামি আসলে কি করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানায় মহিলাদের জন্য হাজতখানা আছে। আমরা সেখানে পাঠিয়ে দেই রাতে থাকার জন্য। পরের দিন সেখান থেকেই আদালতে পাঠানো হয়। গত ৫ জুন সরেজমিন দেখা যায়, সেরেস্তা রুমে ২ পুলিশ সদস্য, ৩ নারী ও এক বৃদ্ধা কোনো একটি বিষয় নিয়ে সমঝোতা করছিলেন। সমঝোতা শেষে এক নারী প্রথমে এক পুলিশ সদস্যকে চা খাওয়ার জন্য ২ হাজার টাকা দেন। পরে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, রিপন ভাইও অনেক কষ্ট করছে। তার সঙ্গেও দেখা করে যাবেন। পরে ওই নারী রিপন নামে পুলিশ অফিসারকে ১ হাজার টাকা দেন। এরপর তারা একসঙ্গেই থানা থেকে বের হয়ে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ থানায় অন্যান্য অপরাধের মাত্রা কম হলেও মাদক নিয়ন্ত্রণই পুলিশের প্রধান চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৬টি মামলার মধ্যে ১১টিই ছিল মাদক মামলা। এ ছাড়া ফেব্রæয়ারির ২১টির মধ্যে ১৮টি, মার্চের ২০টির মধ্যে ১৬টি, এপ্রিলের ২৮টির মধ্যে ১৮টি এবং মে মাসের ৩০টির মধ্যে ২২টিই মাদক মামলা। থানার কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর এয়ারপোর্ট লেক, টানপাড়া, জামতলা নিকুঞ্জ, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড, বেনাড়ীপাড়া, কুর্মিটোলা, নামাপাড়া, আমতলা, তেঁতুলতলা, গুলগুলা মার্কেট, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং, পিংক সিটি ও ডুবনি এলাকা নিয়ে থানাটি গঠিত। বেশিরভাগই ভিআইপি এলাকা হওয়ায় এখানে খুব একটা অপরাধ সংঘটিত হয় না। ফলে থানায় তেমন ভিড়ও হয় না। খিলক্ষেত থানার ওসি শহিদুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, আমার থানায় তেমন কোনো সমস্যা নেই। অপরাধও তেমন সংঘটিত হয় না। বলতে পারেন ডিএমপির ঠান্ডা থানাগুলোর মধ্যে আমরা একটি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App