×

জাতীয়

যশোরের মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৮, ০১:২৮ পিএম

যশোরের মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের ছোটখাটো বিক্রেতা ছাড়া যশোরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়েনি। ফলে ‘জিরো টলারেন্স’ অভিযানের মধ্যেও হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলের মতো মাদকদ্রব্য। সংগত কারণেই এই অভিযানকে সাধুবাদ জানানো সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। সূত্রে জানা গেছে, জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দেয়া নির্দেশনায় মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে করে সারা দেশের ন্যায় যশোরেও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন কয়েকজন। ঢাকঢোল পিটিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শুরু করা অভিযানের অনেকাংশে টের পেয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। সূত্রে আরো জানা গেছে, আগে ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করলেও এসব অভিযানের কারণে ছোট ছোট চালানে হোম ডেলিভারি দেয়া শুরু করেছে। এতে যেমনি ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে তেমনি মাদকসেবীরা বাড়িতে বসেই পেয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা মাদকদ্রব্য। সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানে হাতেগোনা কয়েকজন চুনোপুঁটি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে জীবনও দিতে হয়েছে। তবে শত অভিযান চালালেও বড়বড় রাঘব বোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এর মধ্যে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী রুমা খাতুন, রুমার ভাই জয়নাল, একই এলাকার সোর্স জয়নাল, লাডল, আজগর আলী গেদা ও তার স্ত্রী বেবী বেগম, মেয়ে পান্না ও রোজিনা, সোহরাব হোসেন ছোট, তার স্ত্রী শিলি বেগম, জাফরের ছেলে আল আমিন অন্যতম। সূত্রে জানা গেছে, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার মাদক স¤্রাজ্ঞী ডালিম দীর্ঘদিন ধরে বড়বড় চালানে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে ভোল পাল্টে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আনেন। কিন্তু এসবের আড়ালে ফেনসিডিল এনেও ব্যবসা করে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ডালিমের সুসম্পর্ক থাকার কারণে মামলার বোঝা তার ওপর তেমন ভারি হয়নি। আবার মাদক ব্যবসা আর করবেন না বলে গত বছরে ডালিম নাম গোপন রেখে নদী নামে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসর্মপণ করেছিলেন। এর পরেও সেই ব্যবসা ছাড়তে পারেননি ডালিম খাতুন। কয়েকদিন আগে বন্দুকযুদ্ধে ডালিমের মেয়ে মিতুর স্বামী মানিক নিহত হন। কিন্তু পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী যাদের ধরিয়ে দিতে এর আগে পুলিশ পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করে। তাদের মধ্যে শুধু রুমা ছাড়া আর কাউকে এখনো পর্যন্ত আটক করেনি পুলিশ। ডালিম, রেখা, বেবী, আনো, সাগর, রমজানের মতো মাফিয়ারা অভিযানের আওতায় না আসায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সাধারণ মহলে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App