×

জাতীয়

মাছ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ : মৎস্য সম্পদমন্ত্রী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৮, ০৭:১৭ পিএম

মাছ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ : মৎস্য সম্পদমন্ত্রী

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকের মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এম, আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। এই সময়ে দেশে মাংসের চাহিদা ছিল ৭১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৭১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দিনে জনপ্রতি মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম, যা দৈনিক মাথাপিছু মাছের চাহিদার (৬০ গ্রাম)চেয়ে বেশি। জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা- অনুযায়ী প্রতিদিন জনপ্রতি মাছ গ্রহণের পরিমাণ হতে হবে ৬০ গ্রাম। ফলে মাথাপিছু মাছের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, মৎস খাতের এ অনন্য সফলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এগুলো হলো- জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের আবাসস্থল উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ, পরিবেশ বান্ধব চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সহনশীল আহরণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ মাছ সরবরাহ এবং মৎস ও মৎসজাত পণ্য রপ্তানি।

প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আরো জানান, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমেরিকা থেকে শতভাগ ব্রাহামা জাতের হিমায়িত সিমের আমদানি করে দেশি জাতের গাভীর সাথে প্রজনন করে মাংসর জাতের গরুর উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। মাত্র দুই বছরে এই জাতের শংকর গরু ৬শ’ থেকে ১ হাজার কেজি ওজন লাভ করতে সক্ষম। এই প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩৫টি বকনা এবং ২ হাজার ৭০৫টি ষাড় বাছুরসহ মোট ৫ হাজার ৩৪০টি শংকর জাতের বাছুরের জন্ম হয়েছে। তিনি আরো জানানা, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে প্রতি বছর কোরবানী উপলক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারীদের তালিকা প্রণয়ন করে মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হয়, যাতে নিরাপদ মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হয়। ২০১৭ সালে কোরবানী উপলক্ষে প্রায় ৬০ লাখ গবাদীপশুকে মোটাতাজা করণের আওতায় আনা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার কোনো উদ্যোগ নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বাড়িয়ে ৩৫ করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই।

সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকের মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি সেলিনা বেগমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চাকরি হতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কর হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের উপর তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হতে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপতত সরকারের নেই। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরো বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখ্যযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরের এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App